হুবলি (কর্ণাটক), 17 এপ্রিল: ভোটের মুখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তারের দল ছাড়া নিয়ে চিন্তায় বিজেপি ৷ তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর লিঙ্গায়েত ভোট হাতছাড়া হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির ৷ এই পরিস্থিতিতে ভোটে ধাক্কা যাতে না খেতে হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মোদি-শাহের দল ৷ তাই আগামিকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের হুবলি পৌঁছাচ্ছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ৷
তিনি দু’দিন হুবলিতে থাকবেন৷ হুবলি ধারওয়াড় সেন্টাল বিধানসভা এলাকায় দু’টি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন । তাছাড়া দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ৷ দু’টি মঠেও পরিদর্শন করবেন নাড্ডা ৷ শেষে তিনি উপস্থিত থাকবেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোম্মাইয়ের মনোনয়ন পেশের কর্মসূচিতে ৷
প্রসঙ্গত, হুবলি ধারওয়াড় সেন্ট্রাল আসনের ছ’বারের বিধায়ক জগদীশ শেত্তার ৷ তিনি লিঙ্গায়েত নেতা ৷ বিজেপির আশঙ্কা, তাঁর সঙ্গে আরও অনেক নেতা-কর্মী দল ছাড়তে পারেন ৷ তাই আগেই পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাইছেন নাড্ডা ৷ সেই কারণে দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাড্ডা ৷
জগদীশ শেত্তার কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বটে ! কিন্তু এখনও নিশ্চিত নয় যে তিনি পুরনো আসনে প্রার্থী হবেন কি না ৷ যদিও তিনি মনোনয়নপত্র তুলেছেন বলে খবর ৷ তাই গেরুয়া শিবিরও তাঁকে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবেই ধরছে ৷ সেই কারণে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের দুই নেতাকে প্রার্থী করা হবে বলে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ সেই দু’জনের মধ্যে একজন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মহেশ তেঙ্গিনাকাই ও ড. মহেশ নালভড়া ৷ তবে মহেশ নালভড়া 2018 সালে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন ৷ সেবার তিনি শেত্তারের কাছে হেরে যান ৷ পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন ৷
অন্যদিকে জগদীশ শেত্তার গত 40 বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন ৷ তার উপর ছ’বারের বিধায়ক ৷ তাই পুরনো কেন্দ্রে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের মধ্যে যাঁদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাঁরা শেত্তারকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন ৷ শেত্তার প্রার্থী হলে তাঁদের আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন ওই নেতারা ৷ কারণ, দীর্ঘদিন পর ওই কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে এলেই তাঁরা খুশি বলে ওই নেতারা জানিয়েছেন ৷