কোচি, 30 জুলাই: নৃশংস ঘটনা কেরলে ৷ 5 বছরের শিশুকে প্রথমে অপহরণ, পরে ধর্ষণ করে খুন ৷ ঘটনাটি কোচির এরনাকুলামে ৷ শনিবার শিশুকন্যার বস্তাবন্দি উদ্ধার হয় আলুভা বাজারের কাছে ৷ রবিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ৷ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ শিশুটি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের ৷ গত চার বছর ধরে কেরলে বাস ৷ আসল বাড়ি বিহারে ৷
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল । অভিযুক্ত একটি পাথর দিয়ে শিশুটি মুখ থেতলে দিয়েছিল । এমনকী তাকে তারই নিজের পোশাক দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় । নাবালিকার উপর হামলার সময় তার মাথা গুরুতর জখম হয়েছিল । এরপরেই শিশুটির দেহ অভিযুক্ত বস্তায় করে বাজারের কাছে ফেলে দেয় ৷"
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল 3টের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে । নিজের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে । ওই দিনই বিকেল সাড়ে 5টা নাগাদ তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অভিযুক্ত । ওই দিন সন্ধ্যা 7টা 10 মিনিটের দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় । পরে এফআইআর দায়ের করা হয় । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ শুক্রবার রাত সাড়ে 9টায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করে এবং পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে তাকে নাবালিকাকে অপহরণ করতে দেখা যায় ৷ তবে পরদিন শনিবার সকালে সে তার অপরাধ স্বীকার করে ৷ এরপর 21 ঘণ্টা ব্যাপক অনুসন্ধানের পর আলুভা বাজারের কাছে একটি ডাম্পিং সাইটে পুলিশ নাবালিকার দেহ পায় । সেটি আবর্জনা এবং প্লাস্টিক দিয়ে ভরা জলাভূমিতে একটি বস্তার মধ্যে ছিল ৷ এরপর তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় ৷
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে 5 বছরের শিশুকে ধর্ষণ ! গ্রেফতার অভিযুক্ত
ঘটনার তদন্ত চলছে । নাবালিকাকে ধর্ষণ করার জন্য তাকে অপহরণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তের জন্য 14 সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে ।
