নয়াদিল্লি, 17 জুলাই: পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগে তিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ৷ সূত্র সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে যে, ওই আধিকারিকরা জঙ্গিদের নানা রসদ সরবরাহ করতেন ও সন্ত্রাসের অর্থ জোগাড় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে ৷ পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে ওই দুই আধিকারিক সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে ।
সরকার ভারতের সংবিধানের 311 (2) (সি) ধারা মেনে তিনজন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে ৷ তাঁরা হলেন, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরও ফাহিম আসলাম, পুলিশ কনস্টেবল আরশিদ আহমেদ ঠোকার এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিক মুরাওয়াথ হুসেন মীর । সূত্র বলছে যে, তদন্তে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, তাঁরা পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হয়ে কাজ করেছেন ।
অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ফাহিম আসলাম, যিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ আধিকারিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন, তিনি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করার আগে জঙ্গি শাবির শাহের সহযোগী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ।
অভিযুক্তরা বিশিষ্ট পত্রিকায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করতেন । সূত্র বলছে যে, লেখাগুলির বিষয়বস্তুতে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দেওয়া ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমর্থন করার কথা থাকায় তার থেকে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল ৷ সূত্র বলছে, দ্বিতীয় অভিযুক্ত আরশিদ আহমেদ ঠোকার 2006 সালে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে আর্মড পুলিশে নিযুক্ত হন । তিনি পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (জেএম) ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সের সংস্পর্শে আসেন, যার পরে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সমর্থক হয়ে ওঠেন ।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ধৃত পাঁচ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি
তৃতীয় অভিযুক্ত মুরাওয়াথ হোসেন মীর রাজস্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন । তদন্তকারী দলের সূত্র বলছে যে, তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্ত্বের একজন কট্টর প্রবক্তা ছিলেন এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) ও জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-এর মতো বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের একজন পয়েন্ট-ম্যান ছিলেন বলে খবর ।
তিনজন সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে ।