দেরাদুন, 28 এপ্রিল : উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা । 3 মে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে দিয়ে শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা । করোনার জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের যাত্রা শুরু হওয়ায় এবছর ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে চলেছে বলেই মনে করছে প্রশাসন । ফলে যাত্রী সুরক্ষা এবং যাত্রার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ তারা ৷
যাত্রা শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে শুরু হচ্ছে বর্ষার মরশুমও ৷ ফলে অতিরিক্ত সতর্ক প্রশাসন ৷ বর্ষায় পাহাড়ি এলাকায় যাতায়াতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভূমিধস। সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই সেই রাস্তাগুলিকে চিহ্নিত করেছে, যেগুলিতে ভূমিধস বা বেশি দুর্ঘটনা ঘটে । চারধাম যাত্রাপথে এরকম 24টি চিহ্নিত ভূমিধস অঞ্চল রয়েছে । যেই অঞ্চলগুলিতে রাস্তা খোলা রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন ৷ এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জেসিবি মোতায়েন করার পাশাপাশি বিকল্প পথ নির্ধারণও করা হয়েছে । কোনও পথে ভূমিধস হলে যাত্রীরা যাতে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন (Landslides Zones Marked on Chardham Yatra Route) ।
চারধামের যাত্রাপথে ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল :
- 134 নম্বর জাতীয় সড়কে 4টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে । বোসান, ড্যাম টপ, সুমন কিয়ারি এবং কিসনা গ্রাম ।
- 94 নম্বর জাতীয় সড়কে 4টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে ৷ ধারাসু, ছাটাঙ্গা, পালিগড় এবং সিরাই ব্যান্ড ।
- 58 নম্বর জাতীয় সড়কে 5টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে ৷ নীর গাড্ডু, সাকনিধর, দেবপ্রয়াগ, কীর্তিনগর এবং সিরোবগড় ।
- 109 নম্বর জাতীয় সড়কে 6টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে ৷ যেগুলি হল তিলওয়ারা, বিজয়নগর, কুণ্ড, নারায়ণকোটি, খাট এবং শোনপ্রয়াগ ।
- 121 নম্বর জাতীয় সড়কে 2টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে ৷ শঙ্করপুর এবং পৈথানি ।
- জাতীয় সড়ক 87E-তে 3টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে ৷ যেগুলি হল জৌরাসি, আদিবদ্রি এবং গাদোলি ৷
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশের পর চারধাম যাত্রা স্থগিত করল উত্তরাখণ্ড সরকার
ভূমিধস নামলে বিকল্প পথ :
- জাতীয় সড়ক 123 (হার্বার্টপুর-বারকোট) রুটে, 4টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চলের জন্য 4টি বিকল্প পথ রয়েছে । বাদওয়ালা জুড্ডো মোটরমার্গ, দেরাদুন-মুসৌরি-যমুনা ব্রিজ মোটরমার্গ, লাখওয়ার-লাখস্যার-নৈনবাগ মোটরমার্গ এবং নওগাঁ-পোটি-রাজগাদি থেকে রাজস্তার মোটরমার্গ । ়
- 94 নম্বর জাতীয় সড়ক (ধারাসু-বারকোট) রুটে শুধুমাত্র একটি বিকল্প পথ রয়েছে । নওগাঁ-পটি-রাজগদী মোটরমার্গ ।
- জাতীয় সড়ক 58 (ঋষিকেশ-রুদ্রপ্রয়াগ) রুটে 5টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চলের জন্য 3টি বিকল্প পথ রয়েছে । ঋষিকেশ-গাজা-গাজা-দেবপ্রয়াগ মোটরমার্গ, কীর্তি নগর-চৌরাস-ফরাসু মোটরমার্গ এবং ডুংরি পান্থ-চাটি খাল-খানকরা মোটরমার্গ ।
- 109 নম্বর জাতীয় সড়ক (রুদ্রপ্রয়াগ-গৌরীকুন্ড) রুটের 6টি ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চলের জন্য শুধুমাত্র 2টি বিকল্প পথ রয়েছে । ঘনসালি-চিরবাটিয়া-তিলওয়ারা মোটরমার্গ এবং তিলওয়ারা-মায়ালি-গুপ্তকাশি মোটরমার্গ ।