ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ), 11 এপ্রিল: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের উজ্জ্বল, মেধাবী ছাত্রী তানিষ্কা সুজিত মাত্র 15 বছর বয়সে কলা বিভাগে স্নাতক (বিএ) স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় বসতে চলেছে ৷ তার লক্ষ্য আইন নিয়ে পড়াশোনা করা ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার স্বপ্ন আঁকা রয়েছে তার চোখে ৷ 2020 সালে কোভিড-19-এ সে তার বাবা এবং ঠাকুরদাকে হারিয়েছে ৷ দিনকয়েক আগে ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে তানিষ্কা জানাল যে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্নকে অনুসরণ করতে উত্সাহিত করেছিলেন ।
ইন্দোরের দেবী অহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিষ্কা সোমবার পিটিআইকে জানিয়েছে যে, সে 19 থেকে 28 এপ্রিল যে বিএ (সাইকোলজি) শেষ বর্ষের পরীক্ষা হতে চলেছে, তাতে সে অংশ নেবে । মেধার জোরে 13 বছর বয়সে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এই কিশোরী । তার আগেই প্রথম বিভাগে পাশ করেছিল দশম শ্রেণির পরীক্ষা ৷
দেবী অহিল্যা ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রেখা আচার্যের কথায়, তানিষ্কাকে 13 বছর বয়সে বিএ (সাইকোলজি) প্রথম বর্ষে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ বিশেষ বিভাগে তার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ ৷ সেই পরীক্ষায় ভালো ফল করে তানিষ্কা ৷ গত 1 এপ্রিল কম্বাইনড কমান্ডার্স কনফারেন্সের জন্য ভোপাল সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এই ছাত্রী ।
প্রায় 15 মিনিট তাদের মধ্যে কথা হয় ৷ সে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিল যে, বিএ পরীক্ষায় পাশ করার পরে সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় এবং একদিন ভারতের প্রধান বিচারপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে । তানিষ্কার কথায়, "আমার লক্ষ্য সম্পর্কে শুনে প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার এবং সেখানে আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব দেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন ৷ কারণ সেটা করলে তা আমাকে আমার লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করবে । প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়াটা আমার জন্য একটি স্বপ্ন ছিল ৷"
তানিষ্কার মা অনুভা বলেন যে, তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর 2020 সালে করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৷ তবে সেই শোক কাটিয়ে উঠে তিনি তাঁর মেয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ৷ অনুভার কথায়, "পরিবারের উভয় সদস্যকে হারানোর পর আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম ৷ দুই-তিন মাস পরে আমি অনুভব করি যে, আমার মেয়ের ভবিষ্যতের স্বার্থে আমার ওর পড়াশোনার প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত এবং এর জন্য লড়াই করতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: ঘরে প্রযুক্তিমুক্ত জায়গা রাখুন, পড়ুয়াদের পরামর্শ মোদির; জোর প্রযুক্তি উপবাসে