বোলপুর, 26 সেপ্টেম্বর: জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে করলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । তিনি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে আসছেন, সে কথা বুঝিয়ে দিতে বলেন, "পার্টি অফিসে এমনি আসছি নাকি ? সবাই যেন একসঙ্গে চলে ।" নাম না করে কাজল শেখের উদ্দেশ্যে অনুব্রত বলেন, "কেউ খুঁচিয়ে দিল আর বাইট দিয়ে দিলাম, এটা যেন না হয় ।"
গরু পাচার ও আর্থিক তছরূপের মামলায় 20 সেপ্টেম্বর দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত থেকে জামিন পান অনুব্রত মণ্ডল । 24 সেপ্টেম্বর, 2 বছর 1 মাস 13 দিন পর বোলপুরে নিজের বাড়িতে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে ফেরেন তিনি ৷ বুধবার প্রথম দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন অনুব্রত ৷
প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে চেনা ছন্দে অনুব্রত (ইটিভি ভারত) বৃহস্পতিবার ফের দলীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি ৷ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন ৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমি খুবই ভালো আছি ৷ আপনাদের সহযোগিতা করতে বলব ৷ আমার মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন, ধন্যবাদ জানাই ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, জেলার বিধায়ক, নেতা, সভাধিপতি সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। আর মানুষের পাশে থাকব । কালীপুজোর পর ব্লকে ব্লকে যাব মিটিং করব ৷"
সক্রিয় রাজনীতি করার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "কেন আগের বারের মতো রাজনীতি করব না ? তাহলে কেন পার্টি অফিসে আসছি ? কী জন্য বলছি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে ? আমার মেয়েকে 16 মাস জেল খাটানো হয়েছে । সে তো নেতা নয় ৷ সাধারণ বাড়ির মেয়ে ৷ যাক ঈশ্বরের কাছে আমি এমন কিছু অন্যায় করেছিলাম যে, পাপের শাস্তি পেয়েছি ৷ তাই সবাই এক সঙ্গে চলব ৷ কেউ ভেদাভেদ করবে না মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ।"
প্রসঙ্গত, বোলপুর দলীয় কার্যালয় থেকে কোর কমিটির সদস্যদের ছবি সরিয়ে দিতেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেছিলেন, "ঠিক হয়নি"। এছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আবদুল করিম খানের নাম না করে কাজল শেখ বলেছেন, "চুড়ি পরে বসে নেই, পাঙ্গা যেন না নেয় ।" যুযুধান হিসাবে পরিচিত কাজল শেখকে নাম না করে প্রথম দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সতর্ক করলেন অনুব্রত মণ্ডল ।