সন্দেশখালি, 13 মে: চতুর্থ দফা ভোটের আবহে আবারও প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালিতে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এক প্রতিবাদী মহিলার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা এলাকা ৷ রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন সন্দেশখালির মহিলারা । উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও । এরপরে এলাকায় নামে ব়্যাফ ৷ জোর করে প্রতিবাদী মহিলাদের তুলতে গেলে পরিস্থিতির অবনতি হয় ৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর কাঠপোল বাজার এলাকা ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, "গীতা বরকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। তাই তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। যতক্ষণ না তাঁকে ছাড়া হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন চলবে।" এক বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, "গীতা বর সন্দেশখালি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ। তাঁকে রাতের অন্ধকারে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। গীতাকে মুক্তি দিতেই হবে। নইলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।"
এদিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। এরপর, জোর করেই টেনে হিঁচড়ে বেড়মজুর কাঠপোল বাজার থেকে তুলে দেওয়া হয় বিক্ষোভরত মহিলাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আটক মহিলাদের একাংশের দাবি, 'ফেক ভিডিয়ো' নিয়ে সরব হওয়াতেই পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। যদিও এনিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সাম্প্রতিক কালে ‘সন্দেশখালি স্টিং ভিডিয়োকাণ্ড’ নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি ৷ সন্দেখালির একাধিক মহিলার ‘ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ’ সংক্রান্ত দাবি ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এদিন ফের অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা ৷ বেড়মজুরের কাঠপোল বাজারে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন মহিলা। ঝান্ডা ছাড়া এদিন মহিলারা বিক্ষোভ দেখালেও পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। পালটা গেরুয়া শিবিরও শাসকদলের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছে।