কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: আদিবাসী সমাজের সঙ্গে বৈঠকে আরও একবার এক শ্রেণির সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার আদিবাসী সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। এদিন বিকেল চারটা থেকে নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে লোধা সম্প্রদায়ের তরফ থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা না-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়।
সূত্রের খবর, এদিন লোধা সম্প্রদায়ের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করা হলেও বহু সাধারণ মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিন আদিবাসী সংগঠনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এও অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন সময় পুলিশ তাদের হেনস্তা করছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী বারণ করার পরে তাতে কোনও তোয়াক্কা করছে না পুলিশ ৷ এই বৈঠকে অভিযোগ উঠেছে, ঝাড়গ্রামের মুক্ত মন মন্দিরে সংস্কারের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, এদিন এই অভিযোগ পাওয়ার পর রীতিমতো রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি অফিসারদের উদ্দেশ্যে তিনি কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, "অফিসারদের কাজের জন্য কেন সরকারের মুখ পুড়বে।" আগামী সপ্তাহেই ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার আগে তিনি মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে এই কথাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "কিছু অফিসার আছে যারা সঠিক সময়ে কাজ করছে না। এই কারণেই অফিসারদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে এবার।"
এদিন বিডিওদের কাজেরও সমালোচনা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ৷ তিনি বলেন, "বিডিওদের ঘুম এবার ভাঙাতে হবে।" শুধু কয়েকজন অফিসার নয় কয়েকজন প্রাক্তন জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে সমালোচনা শোনা গিয়েছে। মোটের উপর সরকারি প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আধিকারিক ও কর্মচারীদের দীর্ঘসূত্রিতায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
- নির্দিষ্ট ধর্মকে নিয়ে অনন্যার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ মমতা, নির্দেশ 'এমনটা যেন আর না-হয়'
- জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো'য়ের শুটিং সারলেন মমতা, 'বাংলার দিদি'ই কি নং 1?
- 'আধার নিয়ে কেন্দ্রীয় চক্রান্ত রুখে দিলাম', ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দাবি মমতার