কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: হালকা শীতের আমেজে যাঁরা গরম জামাকাপড় গায়ে না-দিয়ে বেরোচ্ছিলেন, তাঁদের এবার সতর্ক হতে হবে। আজ থেকেই বঙ্গে শীতকাল শুরু। যার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে ৷ সারাটা দিন কার্যত ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে ৷ সূর্য ডোবার পরে সেই হাওয়া আরও বাড়ছে। হাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গে শীতের ইনিংস শুরুর যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। অর্থাৎ পৌষের শুরু থেকে জমিয়ে ঠান্ডা বঙ্গে। যা শীতবিলাসীদের জন্য স্বস্তির খবর।
বুধবার দিনের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আজ কলকাতা ও তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 26 ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 16 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 16 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ঘরে ঢুকে পড়বে। যা গত দু'দিনের তুলনায় 2 ডিগ্রি কম।
মঙ্গলবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 18.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 6 ডিগ্রি বেশি ৷ আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 25.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2.4 ডিগ্রি কম। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 91 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 60 শতাংশ।
কিন্তু, বুধবার থেকে আগামী 7 দিন তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত। দক্ষিণবঙ্গে 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে ৷ শনি ও রবিবার কলকাতায় 15 ডিগ্রির নীচে এবং পশ্চিমের জেলায় 10 ডিগ্রির নীচে নামতে পারে পারদ। ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে পারদ নেমে 1 ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে ৷ শহরে পারদ নেমেছে 4 থেকে 5 ডিগ্রিতে।
দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ শুধু দার্জিলিং নয়, কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়ছে আগামী 24 ঘণ্টায়। তুষারপাতের সম্ভাবনা বেশি সান্দাকফু, ঘুম-সহ সিকিম সংলগ্ন উঁচু পার্বত্য এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। দৃশ্যমানতা 200 মিটারের কম থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় তা 50 মিটারও হতে পারে ৷
দক্ষিণবঙ্গেও আজ থেকে পারদ নামতে শুরু করবে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। পশ্চিমীঝঞ্ঝা পেরিয়ে যেতেই উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস অবাধে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে আজ থেকে পারদ নামবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে ঘন কুয়াশা থাকবে। তবে কুয়াশা বেশি থাকতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে।