কলকাতা, 15 অগস্ট: কথা ছিল, রাত দখল করবেন মেয়েরা ৷ নারী-সুরক্ষার দাবিতে সরব হবেন ৷ কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে সেই আন্দোলনের অভিমুখ আচমকাই বদলে যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ৷ শুরু হয় হিংসাত্মক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ৷ তছনছ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একাংশ ৷ আর এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের সক্ষমতা ৷
বিশেষ করে হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের (যাঁরা আন্দোলনকারী নন, বহিরাগত বলেই অভিযোগ উঠেছে) সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে গিয়েই যখন পুলিশ-কর্মীদের হোঁচট খেতে হল, তখন এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ঠিকঠাক ভাবে ফাটাতেই পারল না পুলিশ । প্রশিক্ষণের অভাব থেকে উন্নতমানের সরঞ্জামের অপ্রতুলতা যে কলকাতা পুলিশে রয়েছে, তা যেন এক রাতেই প্রমাণ হয়ে গেল ।
এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে । কাঁদানে গ্যাসের সেল কীভাবে ফাটাতে হয়, তা নিয়ে কি আদৌ কলকাতা পুলিশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ? পাশাপাশি পুলিশ যে হাতিয়ার ব্যবহার করে, সেগুলি কতটা পুরনো, সেগুলি কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তাছাড়া এত আন্দোলনকারী যখন ছিলেন, তখন কেন পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল না ? ভাঙচুরের সময়ই কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না ? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারদর্শী ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের কেন জরুরিভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হল না ? ব়্যাফ নামাতে এত দেরি হল কেন ? কেন এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার সময় কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রথম দফায় ময়দানে নামলেন না ?