পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চুল্লিতে শবদেহের সঙ্গে লেপ-তোষক! কড়া নির্দেশ কলকাতা পৌরনিগমের - KMC on cremation - KMC ON CREMATION

KMC on Cremation: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদেহ ঢোকানোর সময় তার সঙ্গে লেপ-তোষক চলে যাচ্ছে ৷ এতে কাজ করছে না দূষণ নিয়ন্ত্রক ডিভাইস ৷ তাই এবার বিষয়টিতে নজর রাখতে সাব রেজিস্ট্রারদের কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা পৌরনিগম ৷

Kolkata Municipal Corporation
কলকাতা পৌরনিগম (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 23, 2024, 11:42 AM IST

কলকাতা, 23 মে: মৃত্যুর পর পরিজনকে শেষ বিদায়ের সময় কেউ সাজিয়ে দেন তাঁর পছন্দের পোশাকে ৷ কেউ বা বালিশ, লেপ বা তোষকের উপর শুইয়ে রাখেন মৃতদেহকে ৷ এই অবস্থাতেই বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছে মৃতদেহ ৷ তার জেরেই বিগড়ে যাচ্ছে চুল্লির অভ্যন্তর ৷ কখনও কখনও দূষণ নিয়ন্ত্রক ডিভাইস পর্যন্ত কাজ করছে না ৷ এর জেরে মানুষের জন্য বিষাক্ত কালো উৎপন্ন হচ্ছে ৷ অর্থাৎ শ্মশানের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য তা ক্ষতিকর হয়ে উঠছে ৷

কলকাতা পৌরনিগমের নোটিশ (ইটিভি ভারত)

এতে লাগাম দিতে বালিশ, তোষক, লেপ বা কম্বলের মতো জিনিস চুল্লির ভিতরে না ঢোকানোর নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করা হল ৷ বিভিন্ন শ্মশানে সেই সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমের পৌর কমিশনার ধবল জৈন এই নির্দেশিকা জারি করেছেন ৷ প্রতিটি শ্মশানের সাব রেজিস্ট্রারদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে ৷ এমন ধরনের জিনিসপত্র যেন চুল্লির মধ্যে না ঢোকে, তাতে নিয়মিত নজর হবে সাব রেজিস্ট্রাররা ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, শবদেহ দাহ করার সময় যে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বা বিকট গন্ধ বের হয়, তা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ৷ তবে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যাধুনিক এয়ার পলিউশন কন্ট্রোল যন্ত্র লাগানো হয়েছে কলকাতার প্রতিটি শ্মশানে ৷ কোনও ভাবেই যাতে সেই ধোঁয়া বা গন্ধ আশপাশের লোকালয়ে ছড়িয়ে না যায় ৷ কিন্তু সম্প্রতি কলকাতার দু'টি শ্মশানে সেই কাণ্ড ঘটেছে ৷ সেই অভিযোগ জমা পড়েছে পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগে ।

অভিযোগের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহে জামাকাপড় পরানো অবস্থায় চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছে ৷ আবার কোথাও মৃতদেহের সঙ্গে বালিশ-বিছানাও ভিতরে যাচ্ছে ৷ তাই ফের কড়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্মশান কর্মীদের এই ধরনের জিনিস বাইরে রেখে শুধুমাত্র পাতলা কাপড় জড়িয়ে চুল্লিতে ঢোকানো উচিত ৷ অনেক সময় পরিজনদের চাপে এবং অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় এই কাজ করেন শ্মশানকর্মীরা । এর জেরে বহু মূল্যের চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ডিভাইসও কাজ করছে না ৷ যা আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ক্ষতিকর ৷

আরও পড়ুন:

  1. ই-বর্জ্য কিনতে নাগরিকদের দুয়ারে দুয়ারে যাবে কলকাতা কর্পোরেশন
  2. এক ফোনে আবারও দুয়ারে পৌঁছবে গাছের চারা, জেনে নিন নম্বর
  3. তাপপ্রবাহে মানবিক কর্পোরেশন, কর্মীদের স্বার্থে জারি একাধিক নির্দেশিকা

ABOUT THE AUTHOR

...view details