মালদা, 26 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ সেই অভিযান বন্ধ করতে ইতিমধ্যে তৎপর পুলিশ ৷ শুধু কলকাতা নয়, ওই অভিযানে মালদা থেকে যাতে কেউ যোগ না-দিতে পারে, তার জন্য অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে জেলা পুলিশ ৷ এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে পুরাতন মালদায় ৷ পুলিশের এই ভূমিকার প্রতিবাদে রবিবার মাঝরাতে সোশাল মিডিয়ায় লাইভ করে নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুরাতন মালদার এক যুবতী ৷ সোমবার তিনি মালদা থানার আইসি-র বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন ৷ যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ ৷
ওই যুবতীর নাম সোনালি পাল ৷ বাড়ি পুরাতন মালদা শহরের পাল পাড়ায় ৷ তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদে 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে সোনালির ৷ তাতে বাধ সাধে মালদা থানার পুলিশ ৷ বারবার ফোন করে সোনালির পরিবারের লোকজনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন পুলিশকর্মীরা ৷ তাতে কাজ না-হওয়ায় রবিবার গভীর রাতে সোনালির বাড়িতে হানা দেন স্বয়ং আইসি ৷ সোনালি যাতে নবান্ন অভিযানে অংশ না-নেন, তার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ ৷
মালদা থানার আইসি সোনালিদের পাশের পাড়া ধানহাটি এলাকায় ভাড়া থাকেন ৷ এদিন সকাল থেকে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন সোনালি ৷ তিনি বলেন, "গতকাল গভীর রাতে আমার বাড়ি দিয়ে আইসি বাবাকে বলেন, আমি যেন নবান্ন অভিযানে না-যাই ৷ আইসি কোথা থেকে শুনেছেন, আমি অনেক ছেলেমেয়ে নিয়ে নবান্ন অভিযানে যাচ্ছি ৷ গণতান্ত্রিক দেশে আমার বাক-স্বাধীনতা রয়েছে ৷ আমি নবান্ন অভিযানে যাব কি যাব না, সেটা সম্পূর্ণ আমার নিজের বিষয় ৷ আমার যেখানে ইচ্ছে, আমি যেতে পারি ৷ সেক্ষেত্রে আইসি-র কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি না ৷ গতকাল রাতে আইসি আমার কোনও কথা না-শুনে আমাকে পারিবারিকভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেন ৷ আমার বাবা আর ভাইকে হুমকি দিতে থাকেন ৷ শাসান, আমি নবান্ন অভিযানে গেলে বাবা আর ভাইয়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে ৷ আমি যদি নবান্ন অভিযানে যাই, তবে আইসি-র ভয় কোথায় ? আমি আইসি-কে সেই প্রশ্ন করতে চাই ৷"