পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বাড়ি প্রকল্পের টাকা কেউ চাইলে সরাসরি আমাকে জানান, মাইকিং বিডিও'র - BANGLAR BARI SCHEME

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেওয়ার নাম করে অফিসার বা জনপ্রতিনিধি টাকা চাইলে আমাকে জানান ৷ মাইকিং করছেন খোদ বিডিও ৷

BANGLAR BARI SCHEME
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 26, 2024, 1:41 PM IST

চন্দ্রকোনা, 26 ডিসেম্বর: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হতেই উপভোক্তাদের নিয়ে আলোচনা সভায় মাইক হাতে সতর্কবার্তা বিডিও'র। তিনি বলেন, "কোনও সরকারি অফিসার, কর্মী, জনপ্রতিনিধি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অর্থ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চাইলে দেবেন না ৷ সরাসরি আমাকে ও গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবেন ৷"

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 2 নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথম দফায় 928 জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে ৷ ইতিমধ্যেই অধিকাংশ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 2500 জনের নাম তালিকায় রয়েছে ৷ তার মধ্যে প্রথম দফায় 928 জন উপভোক্তার নাম সার্ভের পর তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে।

আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ যেন আর না ওঠে, বলছে প্রশাসন (ইটিভি ভারত)

এখনও সার্ভের কাজ চলছে ধাপে ধাপে ৷ আরও উপভোক্তার নাম বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত হবে, এমনটাই গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে।সার্ভের পর প্রথম দফায় উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হতেই সতর্ক ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত। 928 জন উপভোক্তাদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন জায়গায় বিশেষ আলোচনা সভা করল ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত। বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনও দুর্নীতি বা অভিযোগ না ওঠে, সঠিক সময়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন মেনে উপভোক্তারা যাতে বাড়ির কাজ শুরু করে সেসব নিয়েই এই আলোচনা সভা ৷

সরাসরি বিডিওকে ও গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবেন, বলছেন খোদ বিডিও (নিজস্ব ছবি)

ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এমনটাই জানানো হয়। আলোচনা সভায় ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনাজুর মোল্লাকে এভাবেই রীতিমতো মাইক হাতে উপভোক্তাদের সতর্কবার্তা দিতে শোনা যায়।

চলছে বিডিও'র মাইকিং (নিজস্ব ছবি)

বিডিও ও উপপ্রধান উপভোক্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, "কোনও সরকারি অফিসার বা কর্মী সে গ্রাম পঞ্চায়েত হোক বা বিডিও অফিসের, এমনকী কোনও জনপ্রতিনিধিও যদি আপনাদের থেকে টাকা দাবি করে দেবেন না। এরকম কেউ দাবি করলে সরাসরি বিডিওকে জানাবেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবেন।"

প্রসঙ্গত, আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের তরজা অজানা নয় ৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা না-দিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে, রাজ্যে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জেলায়। কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না-থেকে রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে বাড়ি তৈরি করে দেবে বাড়ি প্রাপকদের স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তৎপরতায় শুরু হয় সার্ভের কাজ। জেলায় জেলায় সেই সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে প্রকল্পের সূচনা করেন।

ABOUT THE AUTHOR

...view details