ঝাড়গ্রাম, 5 এপ্রিল:হাতছাড়া আসন ঝাড়গ্রামকে ফেরাতে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে এক কর্মিসভায় নেতা সেই বার্তা দেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কর্মীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন ৷ 2019 লোকসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরের দখলে চলে গিয়েছিল ঝাড়গ্রাম ৷ 2024 নির্বাচনে সেই আসন ফেরাতে তৎপর তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' ৷
আসন ফেরাতে দুপুরেই বেসরকারি গেস্ট হাউসে উপস্থিত নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়ক দীনেন রায়, তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-সহ বান্দোয়ান শালবনি গড়বেতা ও ঝাড়গ্রামের 4টি ব্লকের তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিধায়করা । প্রায় 2 ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই দ্রুত হেলিকপ্টারে করে বেরিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর ভেতরে দলের কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন নতুন রণকৌশল হিসেবে। পুরনো কর্মী ও বিভিন্ন কারণে বসে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করার জন্য সমস্ত পথ অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি তথা বিধায়কদের। এদিন বেশকিছু নির্দেশও দেন দলীয় কর্মীদের ৷ এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সোরেন ৷ লোকলভা নির্বাচনে জয় নিরঙ্কুশ করতেই এই পদক্ষেপ শাসক দলের ৷
2019 লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লোকসভা দখল করে বিজেপি। সেই সময়ে জঙ্গলমহলের এই এলাকা অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত ছিল তৃণমূলের হাতে। ওই পরিস্থিতিতে জয়লাভ করেছিলেন কোনার হেমব্রম বিজেপির পক্ষ থেকে। তবে তারপরে বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুনরুদ্ধার করে ফেলেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে জয় নিরঙ্কুশ করতে নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ করতে এই বৈঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷
আরও পড়ুন:
- 'বিজেপিতে যাননি বলেই জেল খাটছেন অনুব্রত', কেষ্টগড়ে নিশানা অভিষেকের
- বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছেন অভিষেক, কমিশনে সিপিএম
- আবাসে বরাদ্দ কেন্দ্র না আটকালে হয়তো..., ঝড়ে ক্ষতির দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপালেন অভিষেক -