কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্তর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানানো হল '30তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'-এ। 10 ডিসেম্বর নন্দন-2-এ দেখানো হল 'একই অঙ্গে কত রূপ'। পাশাপাশি তথ্যচিত্র 'কোনারক'ও দেখানো হয় এদিন। ফেস্টিভ্যালে হাজির হন হরিসাধন দাশগুপ্তর পুত্র তথা পরিচালক রাজা দাশগুপ্ত, পুত্রবধূ তথা অভিনেত্রী-সঞ্চালক চৈতালি দাশগুপ্ত, নাতি বিরসা দাশগুপ্ত।
চৈতালি দাশগুপ্ত বলেন, "আজ বাবার বানানো ছবি আর তথ্যচিত্র দেখতেই ফেস্টিভ্যালে আসা।" রাজা দাশগুপ্ত বলেন, "আমরা যখন নিয়মিত আসতাম তখন ফেস্টিভ্যাল ঠিক এরকম ছিল না। অনেক পাল্টে গিয়েছে। এত আড়ম্বর ছিল না তখন। এত জাঁকজমক ছিল না। এতটা আড়ম্বরের দরকার আছে কি না সেটাও জানি না। তখন আমরা শুধু সিনেমা দেখতাম ছুটে ছুটে। সিনেমাটাই মুখ্য ছিল।"
হরিসাধন দাশগুপ্তর জন্মশতবর্ষ উদযাপন (ইটিভি ভারত) তিনি আরও বলেন, "যারা প্রকৃত সিনেমা ভালোবাসেন তাদের কাছে এটা একটু বাড়াবাড়ি, এটুকু বলতে পারি।" চৈতালি দাশগুপ্ত বলেন, "একটা জিনিস খুব ভালো লাগল যে সব হল ভর্তি। আমি ভাবিনি দেড়টার শো-এ 'একই অঙ্গে এত রূপ' দেখতে হল ভর্তি থাকবে। এখনও যে হরিসাধন দাশগুপ্তর ছবি এই প্রজন্ম প্রাসঙ্গিক বলে মনে করে এটা ভেবেই ভালো লাগছে। "
বিরসা দাশগুপ্ত বলেন, "এবারের ফেস্টিভ্যাল আমার কাছে অন্য মানে রাখে। কারণ আমার ঠাকুরদার বানানো ছবি এবং তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে। পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্য হিসেবে আমার খুব ভালো লাগছে। প্রচুর মানুষ আসছেন। ভিড়ও আছে।"
বিরসা আরও একটি দিক তুলে ধরে বলেন, "2011 সালে যখন সরকার বদল হল তখন আমরা হাত খুলে ফেস্টিভ্যাল করলাম। তখন থেকেই শুধু এলিট ক্লাস নয়, সবার জন্য উন্মুক্ত হয় ফেস্টিভ্যাল। সেটা এখনও অব্যাহত। এটা ভেবে খুব ভালো লাগে।"