চণ্ডীগড়, 24 ফেব্রয়ারি: খানৌরি সীমান্তে মৃত 22 বছর বয়সি কৃষক শুভকরণের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর দেহ দাহ করা হবে না । পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর এক কোটি টাকার সাহায্য ফিরিয়ে এমনই ঘোষণা শুভকরণের পরিবার।
একই সঙ্গে, হরিয়ানা পুলিশ পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভকারী কিছু কৃষক নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত অবশ্য রদ করেছে ৷ যার জেরে স্পষ্ট, কৃষক নেতা এবং ইউনিয়নগুলির বিরুদ্ধে এনএসএ লাগু হচ্ছে না ৷ অম্বালা রেঞ্জের আইজি সিবাশ কবিরাজ জানান, এনএসএ-এর ধারার অধীনে কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। পাশাপাশি প্রতিবাদী কৃষকদের বিরুদ্ধে এনএসএ-এর অধীনে পদক্ষেপের ঘোষণা করে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর আগের পোস্টটিও মুছে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে হরিয়ানা পুলিশের জারি করা একটি বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, এনএসএ-এর ধারাগুলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত 'পুনর্বিবেচনা' করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এনএসএ জারি করা হবে না। তিনি কৃষকদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার অম্বালা পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, তারা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ রোধ করতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, 1980 এর ধারা 2(3)-এর অধীনে প্রতিবাদী কৃষকদের ইউনিয়নের পদাধিকারীদের আটক করার প্রক্রিয়া শুরু করছে। পুলিশ অভিযোগ করেছে যে, 'দিল্লি চলো' মিছিলের সঙ্গে সম্পর্কিত 13 ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু সীমান্তে নির্মিত ব্যারিকেডগুলি ভাঙার জন্য বিক্ষোভকারীদের দ্বারা ক্রমাগত চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে ৷ সীমান্তে তোলপাড় সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভ চলাকালীন সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। কৃষকদের তাণ্ডবে দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ৷ 30 জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত ৷ যার মধ্যে একজনের ব্রেন হেমারেজ হয়েছে বলেও দাবি পুলিশের ৷