নয়াদিল্লি, 23 জানুয়ারি:মানসিক আবসাদে ভুগছেন এমন এক বিধবা অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার আগের সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল আদালত ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি এস প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি পিটিশন দাখিল করে জানিয়েছিল, পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় থাকা সন্তানেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে ৷ সেই অধিকার রক্ষা করা উচিত। এইমস হাসপাতাল আদালতে জানিয়েছে, যদি ভ্রূণকে 34 সপ্তাহ বা তার বেশি পর্যন্তও রাখা হয় তবে কোনও সমস্যা নেই। এমতাবস্থায় ভ্রূণগুলি এখন থেকে আরও একই অবস্থায় 2 সপ্তাহ রাখা যেতে পারে। তাতে মহিলা এবং গর্ভস্থ শিশুর- কারও ক্ষতি হবে না। এরপর আদালত 4 জানুয়ারি দেওয়া অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় ।
প্রসঙ্গত, গত 4 জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট অন্তঃসত্ত্বাকে 29 সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। ওই মহিলার মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত জানিয়েছিল, ওই মহিলার মানসিক অবস্থা ভালো নয় । এমন অবস্থায় গর্ভধারণ ঠিক নয়। ওই মহিলার পক্ষে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়, গর্ভবতী প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছেন। মহিলার তরফে আইনজীবী অমিত মিশ্র জানান, তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ৷ তবে ডাক্তাররা তাঁকে তাঁর সন্তানকে রাখতে বলেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে রাখতে বলা মানে ওই মহিলার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা।