পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

বেঙ্গালুরুতে প্রেমিকা খুনে অভিযুক্ত যুবকের আত্মহত্যা - Bengaluru Woman Murder Case - BENGALURU WOMAN MURDER CASE

Bengaluru Murder Accused Died by Suicide: প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেমিক ৷ এরপর সেগুলি প্রেমিকার বাড়ির ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেয় সে ৷ এই অভিযোগে পুলিশ ওই যুবককে খুঁজে বেড়াচ্ছিল ৷ বুধবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ ৷

Bengaluru Murder Case
বেঙ্গালুরুতে প্রেমিকাকে খুন করে পলাতক অভিযুক্তের আত্মহত্যা (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 26, 2024, 11:47 AM IST

Updated : Sep 26, 2024, 2:04 PM IST

ভুবনেশ্বর, 26 সেপ্টেম্বর: আত্মহত্যা করল খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৷ বুধবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ফ্রিজ থেকে এক মহিলার দেহের টুকরো টুকরো অংশ পাওয়া যায় ৷ এই নৃশংস খুনে মূল অভিযুক্ত ছিল ওই যুবক ৷ তার নাম মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় (31) ৷ পুলিশ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল ৷ আর সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷

বেঙ্গালুরু পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন ওড়িশার ভদ্রক জেলায় ধুসুড়ি থানা এলাকার অন্তর্গত নিজের ভুঁইপুর গ্রামে আত্মহত্যা করেছে ৷ বেঙ্গালুরুর ডিসি (সেন্ট্রাল) শেখর এইচ থেক্কান্নাভার বলেন, "বুধবার সকালে ওই ব্য়ক্তিকে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় ৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ ওড়িশার পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সে খুনের কথা স্বীকার করেছে ৷" ভদ্রকের এসপি বরুণ গুন্টুপল্লি জানিয়েছেন, মুক্তিরঞ্জনের লেখা একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেখানে সে বেঙ্গালুরুর যুবতীকে খুন এবং তারপর তার দেহ 59 টুকরো করার কথা স্বীকার করেছে ৷

বেঙ্গালুরুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী মহালক্ষ্মী ও মুক্তিরঞ্জন দু'জনে একটি জামাকাপড়ের দোকানে কাজ করতেন ৷ সেখানেই তাঁদের আলাপ এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহালক্ষ্মী মুক্তিরঞ্জনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ৷ এর ফলে দু'জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় ৷ ঝামেলা বাধে ৷ এরপর রাগের মাথায় মুক্তিরঞ্জন প্রেমিকা মহালক্ষ্মীকে খুন করে এবং পরে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ৷ মুক্তিরঞ্জন চট করে রেগে যেত বলে অভিযোগ ৷

পুলিশের এক উচ্চাধিকারিক জানান, খুন করার পর মুক্তিরঞ্জন তার ভাইকে ফোন করে ৷ সে জানায়, যত দ্রুত সম্ভব ভাড়া বাড়ি ছেড়ে তাদের চলে যেতে হবে ৷ স্বভাবত এর কারণ জানতে চায় তার ভাই ৷ তখন মুক্তিরঞ্জন জানায় যে সে ফোনে খুব বেশি কিছু বলতে পারবে না ৷ বাড়ি ফিরেই সামসামনি কথা হবে ৷ পুলিশি জেরায় মুক্তিরঞ্জনের ভাই এই কথা স্বীকার করেছে ৷ সে জানিয়েছে, খুন করে ভাড়া বাড়িতে ফিরে তার দাদা মহালক্ষ্মীকে হত্যা করার কথা জানায় ৷ আরও জানায় যে, এই অবস্থায় তার পক্ষে বেঙ্গালুরুতে থাকা সম্ভব নয় ৷ তাই দ্রুত বেঙ্গালুরু ছেড়ে ওড়িশায় নিজেদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য জোর দিতে থাকে ৷

পুলিশ আধিকারিক বলেন, "কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ প্রথমে তার মোবাইলের লোকেশন পশ্চিমবঙ্গের কাছেই দেখাচ্ছিল ৷ পরে সে ফোনটি বন্ধ করে দেয় ৷ তবে প্রযুক্তির সাহায্যে জানতে পারি, সে ওড়িশার একটি গ্রামে রয়েছে ৷ সেখানে আমরা আমাদের দলকে পাঠাই ৷ তবে অভিযুক্ত ওড়িশাতেও বারবার নিজের অবস্থান পালটাচ্ছিল ৷" মুক্তিরঞ্জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ৷

গত 22 সেপ্টেম্বর কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর মালেশ্বরম এলাকার একটি বাড়ির ফ্রিজ থেকে এক তরুণীর দেহের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ ৷ সেখানেই থাকতেন মহালক্ষ্মী ৷ তিনি বিবাহিত ছিলেন ৷ তাঁর একটি সন্তানও ছিল ৷ কিন্তু তিনি তাঁদের সঙ্গে না-থেকে আলাদা বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন ৷ মহালক্ষ্মীর মা ভাড়া বাড়িতে ফ্রিজের মধ্যে পোকা ধরা দেহের টুকরো টকুরো অংশ দেখতে পান ৷

Last Updated : Sep 26, 2024, 2:04 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details