"ওর কথা বিশ্বাস করি না", বেচারামকে আক্রমণ রবীন্দ্রনাথের
কথায় আছে, শেষ হয়েও হইল না শেষ ৷ সিঙ্গুরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটা প্রায় একশো শতাংশ সত্য ৷ বিতর্ক এখনও অব্যাহত। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে বেচারাম মান্না দাবি করেন, বিধায়ক পদে ইস্তফার কথা অবাস্তব ৷ বলেছিলেন, "বিধানসভার স্পিকারের ঘরে যাওয়া মানেই পদত্যাগ নয় ।" এমনকী মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। তিনি বলেন, "উনিও কাজ করছেন । আমিও কাজ করছি ।" সিঙ্গুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তকর প্রচার বলেও অভিযোগ বেচারামের ৷ অথচ চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতে উলটো সুর সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের গলায় । বেচারামের বক্তব্যে নিয়ে তিনি বলেন, "ওর কথা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ৷ সর্বপ্রকারের সহযোগিতার কথা বেচারাম মান্না বললেও সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি মহাদেব দাসকে মেনে নিতে আপত্তি কোথায়?" তাঁর আরও যুক্তি, " হরিপালের সভাপতি কে হবে সেটা যদি হরিপাল বিধায়ক ঠিক করতে পারে, তাহলে সিঙ্গুরের বিধায়ক হিসাবে আমি কেন সিঙ্গুরে ঠিক করতে পারব না?" এরপরই সিঙ্গুরের " মাস্টারমশাই "-কে আরও আক্রমণাত্মক শোনায় । বলেন ," কোন অধিকারে বেচারাম মান্না দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতি নির্বাচন করতে পারেন ? গোবিন্দ ধারাকে সিঙ্গুরের সভাপতি মেনে নিতে পারছি না। আমি ও মহাদেব দাস ব্লক অফিসের চাবি চাইলে কোনওভাবেই দিতে চাননি। আমাদের কোনও সহযোগিতা করেননি । বেচারাম মান্না আমাকে বারে বারে অপদস্থ করে। এমনকী আমার ছেলের বিরুদ্ধে রাস্তায় লরির মাল চুরি করে সংসার চালায় বলে অভিযোগ করেছে। আমি যে গাড়ি ব্যবহার করি সেটা নাকি অবৈধ ! আর সেই গাড়ি চেপেই বেচারাম অনেক কার্য সিদ্ধি করেছে তার ইয়ত্তা নেই ৷ " তাঁর দাবি, "সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারাকে সরিয়ে মহাদেব দাসকে আনা হোক।"