Maheshtala Chaos: মহেশতলায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, এলাকা দখলের লড়াইয়ে চলল গুলি!
শিয়ালদা-বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ৷ এলাকা দখলের উদ্দেশে শুন্যে গুলি ছোড়ার অভিযোগে রাতেই স্থানীয়দের পথ অবরোধ। মহেশতলা পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের বুড়ির মাঠ, যেটি রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত এবং মহেশতলা পৌরসভা 18 নম্বর ওয়ার্ডের আইনাল পাড়ার নুর বস্তি, যেটি মহেশতলা থানার অন্তর্গত। এই দু'টি ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী স্থল দিয়ে চলে গিয়েছে শিয়ালদা-বজবজ শাখার ট্রেন লাইন। আর এই ট্রেন লাইন সংলগ্ন এলাকায় অবাধে চলছে মাদক ব্যবসায়ীদের তাণ্ডব।
রাত হলেই বারে তাদের উৎপাত। প্রায় প্রতিদিনই মাদক সেবনে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কোনও না কোনও বিষয়ে ঝগড়া, অশান্তি লেগেই থাকে। গতকাল রাতেও যার অন্যথা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, শেখ আলাউদ্দিন নুর বস্তিতে অস্থায়ী একটি ঘরে থেকে মাদক ব্যবসা চালান। স্থানীয়রা একজোট হয়ে বহুবার গণ ডেপুটেশনের মাধ্যমে এই মাদক কারবার এখানে বন্ধ করার জন্য উদ্যোগী হলেও দু-এক দিন বন্ধ থাকার পরে আবারও এই ব্যবসা চলতে শুরু করে। স্থানীয়রা বলছেন যুবসমাজ এই মাদক সেবনে দিনে দিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে তাঁরা চাইছেন না কোনওভাবেই এই ব্যবসা এখানে চলুক ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে বুড়ির মাঠ এলাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে দুষ্কৃতীর ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। এরপর বেশকিছু দুষ্কৃতী ধাক্কা লাগার প্রতিবাদে জনবহুল এলাকায় ঢুকে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ সূত্রে গুলি ছোড়ার ঘটনাকে অস্বীকার করা হলেও, স্থানীয়দের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো কিন্তু ধরা পড়েছে। এরই প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা 8 নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া এলাকা অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে আসে রবীন্দ্র নগর থানার পুলিশ। স্থানীয়দের বুঝিয়ে পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বচসা বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদি পুলিশ অতীতের ন্যায় কোনওপ্রকার পদক্ষেপ না-নেয় তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলন এবং থানা ঘেরাও করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।