হায়দরাবাদ, 3 মার্চ:জন্মগত অসঙ্গতি এবং তার সঙ্গে জড়িত নানা কারণগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সারা বিশ্ব জুড়ে 3 মার্চ পালিত হয় 'ওয়ার্ল্ড বার্থ ডিফেক্টস ডে' ৷ নবজাতকের মৃত্য়ু কিংবা বাচ্চাদের মৃত্যু এবং আজীবন অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণ জন্মগত কিছু অসঙ্গতি ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় 8 মিলিয়ন এমন নবজাতকের জন্ম হয় যাদের জন্মগত অসঙ্গতি রয়েছে । আর ভারতে এই সংখ্য়াটি কত? কম নয় মোটেই পরিসংখ্য়ান বলছে ভারতে জন্মগত অসঙ্গতি নিয়ে প্রতিবছর জন্ম হয় প্রায় 1.7 মিলিয়ন নবজাতকের (World Birth Defects Day Significance)৷
সিডিসি অনুসারে বিশ্বব্যাপী নবজাতক এবং শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এই জন্মগত ত্রুটি বা অসঙ্গতিগুলি। আরেকটি বড় উদ্বেগের বিষয় হল শিশুরা এই অসঙ্গতিগুলি থেকে সেরে উঠলেও তাদের অনেককেই আজীবন নানা ধরনের অক্ষমতার শিকার হতে হয়। 3 মার্চ 'ওয়ার্ল্ড বার্থ ডিফেক্টস ডে' পালনের লক্ষ্য একটাই মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করা এবং একইসঙ্গে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা ৷ যার এর প্রতিরোধ কীভাবে করা যায়, চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব সকলে তা নিয়ে জানতে পারেন ৷
জন্মগত ত্রুটি বা জন্মগত অসঙ্গতি কি:জন্মগত অসঙ্গতির মধ্য়ে অনেক ধরনের জন্মগত ত্রুটিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে । আসলে শিশু যখন জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কোনও রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তখন তাকে জন্মগত অসঙ্গতি বলা হয় ৷ এর মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি যে যে রোগগুলির রিপোর্ট সামনে আসে তা হল কাটা ঠোঁট, ডাউন সিনড্রোম, জন্মগত বধিরতা, ট্রাইসোমি 18, ক্লাবফুট, হার্টের ত্রুটি, নিউরাল টিউব ত্রুটি, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। এক বা একাধিক জিনগত সমস্য়ার কারণেই সাধারণত এই ধরনের রোগ দেখা দেয় ৷ এছাড়া গর্ভবতী মায়ের শরীরের কোনও রোগের প্রভাব, পুষ্টির অভাব, গর্ভে থাকা শিশুর শরীরে কিছু রোগের সংক্রমণ থেকে জন্মগত অসঙ্গতি বা বার্থ ডিফেক্টস দেখা দিতে পারে ৷
পরিসংখ্যান কি বলে:ডাব্লুএইচওর দেওয়া তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে, জন্মগত ত্রুটির কারণে শিশু মৃত্যুর হার বেশ বেশি ৷ আর এই শিশু মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্য়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই ধরনের ত্রুটির ৷ আর অন্যদিকে যে যে কারণে নবজাতকদের মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয় সেই তালিকাতেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বার্থ ডিফেক্টস । সমস্ত নবজাতকের মৃত্যুর প্রায় 12% এই কারণেই ঘটে ।