হায়দরাবাদ:সারা বিশ্ব থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হাঁপানি নির্মূল করতে প্রতি বছর বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয় । এই দিনটি মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) দ্বারা এই দিনটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হচ্ছে । এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতন করা ।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম পালিত হয় 1998 সালে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভারতে প্রায় 20 মিলিয়ন হাঁপানি রোগী রয়েছে । এতে সব বয়সের মানুষই অন্তর্ভুক্ত । এটি একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে । কোভিড মহামারীর মতো রোগ এড়াতে হাঁপানির চিকিৎসা একেবারেই জরুরি । এরজন্য প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা । তাহলে জেনে নিন কেন এই রোগ হয়, এর কারণ সম্পর্কে ৷
হাঁপানি কী ? হাঁপানি একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ ৷ যা সাধারণত শ্বাসকষ্ট হিসেবে পরিচিত । বর্তমানে নানা কারণে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই এসব রোগের সংখ্যা বাড়ছে । হাঁপানির অনেক উপসর্গ শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই নয়, শিশুদের মধ্যেও দেখা যায় । হাঁপানি আসলে ফুসফুসের সঙ্গে জড়িত একটি রোগ যেখানে শ্বাসনালী স্ফীত হয় এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায় । ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় ।
হাঁপানির উপসর্গ: হাঁপানি একটি সমস্যা যা 6 মাস বয়সি শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে হতে পারে । বংশগতি, যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যা, অ্যালার্জি, সংক্রমণ, ঋতু পরিবর্তন এবং দূষণ ইত্যাদি অনেক কারণই হাঁপানির জন্য দায়ী হতে পারে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, জিনগত কারণও শিশুদের হাঁপানির জন্য দায়ী ।
অ্যাজমার কারণ:বংশগতি ছাড়াও কখনও কখনও কিছু শারীরিক, অবস্থা এবং পরিবেশগত কারণও হাঁপানির জন্য দায়ী । উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি শিশুর বাবা-মা উভয়ের হাঁপানি থাকে তবে শিশুর এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । এছাড়াও, কিছু শারীরিক রোগ, প্রাণীর সংস্পর্শে আসা, অ্যালার্জি, সংক্রমণ এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া হাঁপানি বৃদ্ধির জন্য দূষণকেও দায়ী করা হয়। বয়স, অবস্থা এবং পর্যায়ের উপর নির্ভর করে হাঁপানি অনেক ধরনের হতে পারে ।