নয়াদিল্লি, 30 ডিসেম্বর:রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid Arthritis) বা আরএ (RA) আক্রান্ত হলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে ৷ তার কারণ, আক্রান্ত ব্যক্তি প্রবল যন্ত্রণা, হাড়ের সংযোগস্থলের তীব্র ব্যথায় বছরের পর বছর ধরে ভোগেন ৷ একটা সময় আর স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলাও করতে পারেন না তিনি ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এই রোগ নিরাময় হওয়ার কোনও উপায় নেই ৷ কিন্তু, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে অনেকটা স্বস্তি মেলে ৷ একইসঙ্গে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মিতভাবে শরীরকে সচলও রাখতে হবে ৷
যখন কোনও ব্যক্তির শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তাঁরই সুস্থ দেহকলাকে আক্রমণ করে, তখনই শরীরের বাসা বাঁধে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ৷ এটি আসলে আর পাঁচটা অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের মতোই একটি জটিল সমস্যা ৷ অসুখ যত বাড়ে, ততই আক্রান্ত ব্যক্তির সমস্যাও বাড়তে থাকে ৷ বস্তুত, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ বাড়লে দেহের অভ্যন্তরে প্রদাহ শুরু হয় ৷ এর জেরে নির্দিষ্ট সময় পর থেকে হাড়, তরুণাস্থি এবং হাড়ের সংযোগস্থলগুলি ক্ষয়ে যেতে শুরু করে ৷ এই রোগে লিগামেন্টেরও ক্ষতি হয় ৷ অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ও গঠন নষ্ট হয়ে যায় ৷ পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন ৷ সাধারণত, 30 থেকে 50 বছর বয়সের মধ্যে এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে ৷