নয়াদিল্লি:একরাশ ঘন কালো চুল কে না চায় ৷ চুল নিয়ে কম-বেশি সকলেই স্পর্শ কাতর ৷ কবির ভাষায় চুল তার কবেকার, অন্ধকার বিদিশার নিশা ৷ বিদিশা থেকে শুরু করে বিদীপ্তা সকলেই চুলের প্রতি যত্নবান ৷ কেশরাশির উজ্বল্য ধরে রাখতে সব কিছু ব্যবহার করেন ৷ এমনকী নামী-দামি কোম্পানির শ্যাম্পু থেকে শুরু করে হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করেন ৷ তবে শুধু এই সমস্ত ব্যবহার নয়, তার সঙ্গে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম ৷ তবেই কেশরাশি হবে উজ্বল ও ঘন ৷ ড: সারু সিং এই রকমই কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন ৷
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: সুন্দর চুল ও ঘন চুলের জন্য কেবলমাত্র শ্যম্পু- কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই হবে না ৷ সঠিক খাবারও খেতে হবে ৷ পুষ্টিকর ডায়েট অত্যন্ত জরুরি ৷ চুল শরীর থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করে ৷ তাই সুস্থ চুলের জন্য় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ প্রতিদিনের খাবারে ডিম,অ্যাভোকাডো, পালং শাক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ এই সমস্ত খাবারে থাকা ভিটামিন বৃ্দ্ধিতে সাহায্য় করে ৷ পাশাপাশি পরিমাণ মত জলও খেতে হবে ৷
চুল পরিষ্কর রাখা: চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত শ্য়াম্পু করাও অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ অপরিষ্কার চুলের বৃদ্ধি কমে যায়া এবং ঝরে যায় ৷ তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন ৷ প্রতিদিন বা এক- দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করলে মাইল্ড শ্যাম্পু করা ভালো ৷ সেই সঙ্গে শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে ৷ শ্যাম্পুর সময় স্ক্যাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করলে মাথার রক্ত চলাচল ভালো হয় ৷ যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী ৷
হেয়ার স্টাইলারের কম ব্যবহার: চুলকে সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব কম হেয়ারস্টাইলার ব্যবহার করা যায়, ততটাই ভালো ৷ আমরা অনেক সময় স্টাইলের জন্য স্ট্রেটনার, কার্ললার, ব্লো ড্রাই ও হেয়ার ডায়ার ব্যবহার করি ৷ এই সবই হয় হিট দিয়ে ৷ অতিরিক্ত হিট দিলে চুলের জন্য তা ক্ষতি কর ৷ তাই চুলকে রক্ষা করতে হিট প্রোটেকশন স্প্রে ব্যবহার করতে হবে ৷ যদি ঘন ঘন এই স্টাইলার ব্যবহার করতে হয় তবে হিট সেটিংস কমিয়ে অর্থাৎ তাপমাত্রা কম রাখতে হবে ৷