এনিয়ে আরও জানতে ইটিভি ভারত সুখীভব কথা বলেছিল ফার্মা স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট স্বরূপ পাণ্ডার সঙ্গে ।
দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল 16 জানুয়ারি । তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পেতে শুরু করেন এবং তারপর 2 ফেব্রুয়ারি থেকে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বের সবথেকে বড় টিকাকরণ অভিযানের দ্বিতীয় দফা শুরু হয় 1 মার্চ থেকে ৷ যখন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং 45 বছর বয়সের উপরে কোমর্বিডিটি আছে এমন মানুষদেরও টিকাকরণ শুরু হয় । এখন পয়লা এপ্রিল থেকে নিয়ম আরও শিথিল করা হয়েছে, যাতে 45 বছরের ওপরের সবাই ভ্যাকসিন পান ।
এতদিনে এটা বোঝা গেছে যে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড – দুটি ভ্যাকসিনই কোভিড-19কে আটকাতে বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু রুখতে সক্ষম । কিন্তু কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের উপর তা কতটা কার্যকর সেব্যাপারে আমরা এখনও জানছি । প্রথমদিকের তথ্য বলছে, কয়েকটি ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কাজ করলেও বাকিদের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কম কার্যকর । তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা সমস্ত বিধিনিষেধ উড়িয়ে অন্যদেরও বিপদে ফেলব । এটা আরও জরুরি কারণ সংক্রমণ ও রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতদূর কার্যকর এবং কতদিন কার্যকর তা এখনও স্পষ্ট নয় । ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ আপনি আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনলেন কিন্তু তার পরেও আপনার আক্রান্ত হওয়ার এবং অন্যদের মধ্যে অসুখ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । অনেকেই মনে করছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানেই যেন মাস্কবিহীন পৃথিবীর দরজা খুলে গেল । এটা একেবারেই সত্যি নয় এবং সম্ভবত এটাই একজন ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির পক্ষে সবথেকে বড় ভুল ।
আরও পড়ুন : প্রযুক্তি কীভাবে কোভিডের সময় রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে ?