চুলপড়া কারও ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে । এতে মানুষের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিকভাবে চাপের সৃষ্টি হয়, যার জেরে হীনমন্যতা, আত্মসম্মানের অভাব ও ডিপ্রেশনের সৃষ্টি হতে পারে । করোনার পর রোগীদের মধ্যে এটা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে । সেলেবদের অনেকেই ট্যুইট করতে শুরু করার পর এদিকে অনেকের নজর পড়েছে ।
ড. অক্ষয় বাত্রা, বাত্রা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি, এবং লন্ডনের ট্রাইকোলজিক্যাল সোসাইটির প্রথম ভারতীয় সভাপতি, কথা বললেন ইটিভি ভারত সুখীভবর সঙ্গে ।
ডক্টর বাত্রাজ-এর করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে,
- ৭৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা টাকমাথা পুরুষকে কম আকর্ষণীয় মনে করেন ।
- ৮০ শতাংশ পুরুষের লম্বা চুলের মহিলাদের পছন্দ ।
- ৮১ শতাংশ চুল পড়ার চিরাচরিত চিকিৎসার বদলে বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতি পছন্দ করেন ।
- ৮৮ শতাংশ মনে করেন যে আপনাকে কেমন দেখাবে, তা নির্ভর করে চুলের ওপরে ।
চুল পড়ার সম্ভাব্য কারণ:
1. সেইসব মানুষ যারা সাইজ জিরো পাওয়ার অবাস্তব আশা নিয়ে ক্র্যাশ ডায়েট করেন ।
2. স্ট্রেস ।
3. ওষুধ, অস্ত্রোপচার, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া থেকে পাওয়া শক ।
4. সন্তানের জন্ম ও মেনোপজের পর চুল পড়া প্রায়ই দেখা যায়, যার কারণ হল হরমোনের পরিবর্তন । ইস্ট্রোজেন চুল গজানোয় সাহায্য করে, আর প্রজেস্টেরন চুল পড়ার । জীবনে এই দুই সময়েই ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ায় চুল পড়ে । এধরণের ক্ষেত্রে, চুল ফের গজানোর জন্য আমাদের মাস তিনেক অপেক্ষা করা উচিত । পিসিওডি-র রোগীদের ক্ষেত্রেও এটা দেখা যায় ।
5. জলে ক্ষারের বেশি পরিমাণ, অথবা হঠাৎ স্থান পরিবর্তন করে হার্ড ওয়াটারযুক্ত এলাকায় গেলেও চুল পড়তে পারে ।