হায়দরাবাদ: মাতৃত্ব প্রতিটি মহিলার জন্য একটি খুব আনন্দদায়ক অনুভূতি । এই সময়টি প্রতিটি মহিলার জীবনে খুব বিশেষ । কিন্তু অনেক সময় এটি বেশ চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে । এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি নিজের এবং সন্তানের যত্ন নিতে চান তবে সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এই সময়ে আপনার খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে সঠিক ঘুম, ওষুধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুর দিকেই নজর দিতে হবে ।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর 11 এপ্রিল জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয় । এটির লক্ষ্য গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান প্রসবের আগে বা পরে তাদের কী যত্ন নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে সচেতন করা । জেনে নেওয়া যাক সেই বিশেষ স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে যা প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার তার ত্রৈমাসিকে মনে রাখা উচিত ।
প্রথম ত্রৈমাসিক হল শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিন (ঋতুস্রাব) থেকে 12তম সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত সময়কাল । এই প্রথম তিন মাসে অনেক কিছু ঘটে, যা ট্র্যাক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই সময়ে এই বিষয়গুলির বিশেষ যত্ন নিন ৷ খাদ্যতালিকায় ফলিক অ্যাসিডের পরিপূরক গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান । খনিজ এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন সমৃদ্ধ বাড়িতে রান্না করা খাবার বেশি করে খান । আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফোলেট সমৃদ্ধ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার খান ৷ প্রথম ত্রৈমাসিকের সময় পর্যাপ্ত তরল গ্রহণের সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে ঘন ঘন কিন্তু অল্প খাবার খান । আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্দিষ্টভাবে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে যান ।
এই সময় প্রচুর বিশ্রাম নিন । রাতে 8 ঘণ্টা ঘুমান এবং দিনে কমপক্ষে 2 ঘণ্টা বিশ্রাম নিন । বাম দিকে শুয়ে পড়ুন কারণ এটি ভ্রূণের রক্ত সরবরাহ বাড়ায় । এই সময়ে হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সেরা ব্যায়াম হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি আপনার পেশী ঠিক রাখতে সাহায্য করে । ডিহাইড্রেশন এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন । ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা করা মায়ের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে ।
এছাড়াও কোনও জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন ৷ কারণ এগুলি গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় । ধূমপান, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন সেবন এড়িয়ে চলতে হবে । কাঁচা পেঁপে এবং কাঁচা আনারস খাবেন না । কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন ।