হায়দরাবাদ: হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মহিলাদের কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত (Take care of your heart) । প্রথমেই মনে রাখতে হবে ব্যায়াম যে কোনও সমস্যার প্রতিষেধক । ব্যায়াম করলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় । কিছু গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে এটি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমায় । তাই নিয়মিত ব্যায়ামকে রুটিনের একটি অংশ করা ভালো । প্রতিদিন কমপক্ষে 10,000 পা হাঁটা থেকে শুরু করে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ হাঁটলে শরীর ভালো থাকে ।
সুস্থ হার্টের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ হার্টের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ । আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আপনার কত ওজন (BMI) হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে হবে । আপনার BMI জেনে, আপনার ওজন বাড়ানো বা কমানো উচিত এবং আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ডায়েটটি অনুসরণ করা উচিত ? এবং আপনি কি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত ? এই ধরনের সমস্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসা করা ভালো । বিএমআই নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমে 32 শতাংশ ৷
মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও হৃদরোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা ও বিপি পরীক্ষা করার কারণে যদি কোনও ওঠানামা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।স্ন্যাকস এবং তেলে ভাজা খাবার সকলেরই বিশেষ প্রিয় ৷ কিন্তু এগুলি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে ওজন বাড়বে। এইভাবে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে । তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা বা সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেওয়া ভালো ৷
আরও পড়ুন:আপনার সন্তানের বৃদ্ধি না-হওয়া নিয়ে চিন্তিত ? এই খাবারগুলি দিন
হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মহিলাদের এইগুলি অনুসরণ করা উচিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকেন তাদের হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । তাই শরীর যাতে পর্যাপ্ত ব্যায়াম পায় তা নিশ্চিত করুন ৷ মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও হৃদরোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । তাই ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে ৷ এই সমস্ত সতর্কতা গ্রহণ করলে শরীর ভালো থাকে । আপদ-বিপদের আশঙ্কা কমে আসে ।