কিডনিতে পাথর কিংবা গলব্লাডারে পাথর আজকের দিনে একটি সাধারণ সমস্য়া ৷ বেশিরভাগ পরিবারেই এই ধরণের সমস্য়ার কথা শোনা যায় ৷ এর চিকিৎসাও রয়েছে ৷ আর যথাযথ চিকিৎসা হলে আগামিদিনে ভয়ের কোনও কারণ থাকে না ৷ তবে যদি ছোট ছোট পাথরের কথা জানার পরও আপনি কোনও চিকিৎসা না করান তবে পরবর্তীতে বিপদ বাড়তে পারে ৷ এমনটাই বলছে 'নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা (Small Kidney Stones Can Cause Complications )৷
সাধারণত, 6 মিমি ব্যাসের চেয়ে ছোট পাথরগুলিকে অপসারণ করা হয় না ৷ আসলে এগুলিকে বের করা চিকিৎসকদের মূল লক্ষ্য নয় ৷ তাঁরা বড় পাথরগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখেন কারণ যদি 'সেকেন্ডারি' পাথরগুলি মূত্রথলিতে চলে যায় তাহলে সেগুলির বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে ৷
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের একজন ইউরোলজিস্ট তথা গবেষণার প্রধান লেখক ডঃ ম্যাথিউ সোরেনসেন বলেন, "এই গবেষণাটি হওয়ার আগে অবধি এই ধরণের ছোট পাথরগুলির চিকিৎসা করা উচিত কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত ছিল ৷"
কিডনিতে পাথর কিংবা গলব্লাডারে পাথর আজকের দিনে একটি সাধারণ সমস্য়া আরও পড়ুন:বার্ধক্যে নিরামিশাষী মহিলাদের কোমরের হাড় ভাঙার সম্ভাবনা বেশি
বেশিরভাগ চিকিৎসকই এক্ষত্রে পাথরের আকারের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেন ৷ ম্যাথিউ বলেন," প্রায় সব চিকিৎসকই এক্ষত্রে পাথরের আকারের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেন ৷ দেখা হয় এর জন্য চিকিৎসা একান্ত জরুরি কি না ? প্রায়শই ছোট পাথরগুলির দিকে নজর দেন না তাঁরা ৷" সেকেন্ডারি স্টোন অপসারণের ফলে রিল্যাপসের হার 82 শতাংশ কমেছে ঠিকই, তবে মনে রাখবেন গবেষকরা বলছেন, এই ছোট ছোট পাথরগুলিও ফেলে রাখা উচিত নয়।