হায়দরাবাদ:মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও একেবারে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন ৷ কিন্তু তাঁদের প্রতি সমাজের মনোভাবই তাঁদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে ৷ বারবার খিঁচুনি হওয়ার ফলে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘন ঘন আঘাত, পুড়ে যাওয়ার এবং এমনকি প্রাণ হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷ বরাবরই বড় বেশি বৈষম্যের শিকার হন তাঁরা ৷ তা সে চাকরির ক্ষেত্রেই হোক বা শিক্ষার ক্ষেত্রে ৷ তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁদের স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে সাহায্য় করবে ৷
চিকিৎসকরা জানান, ভারতে স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক বেশি উন্নত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয় সমাধানগুলি নির্ধারণ করা চিকিৎসাগতভাবে সম্ভব । এখন এই রোগের চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে ৷ কেআইএমএস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ সীতা জয়লক্ষ্মী বলেন, "খিঁচুনি কমানো এবং মৃগী রোগ কমানোর জন্য শুধু সঠিক ওষুধের প্রয়োজন ৷ ওষুধ প্রয়োগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের 10 জনের মধ্য়ে সাতজনের রোগই কমানো গিয়েছে ৷ তবে রোগীদের অবশ্যই নিজের মর্জিমাফিক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং রোগী ভাল আছে কি না তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে (Epilepsy is Curable)৷ "
এই রোগের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওকহার্ট হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের পরামর্শদাতা ডাঃ অমিত ভাট্টি জানান, সাধারণত দুর্বল স্নায়ুতন্ত্রের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বা মানসিক চাপ এই রোগের তীব্রতা বাড়তে পারে ৷ মানসিক চাপ শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশকেও প্রভাবিত করে, যার জেরে পরবর্তী পর্যায়ে জটিলতা তৈরি হয় ৷ খিঁচুনি শুরু হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল মস্তিস্কের কাঠামোগত পরিবর্তন ৷