ডালের আটা সম্পর্কে চিত্তাকর্ষক কিছু তথ্যের জন্য ইটিভি ভারত সুখীভব কথা বলেছিল মুম্বইয়ের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং সানশাইন হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ক্রুতি এস ধিরওযানির সঙ্গে ।
- ডালশস্যের আটা :
ডালশস্যের আটা হল গ্লুটেনমুক্ত ৷ শস্যের আটার তুলনায় এতে প্রোটিন ও ফাইবার বেশি থাকে । এছাড়াও এতে ফোলেট এবং আয়রনের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বেশি থাকার ফলে দৈনন্দিন খাবারে তা যুক্ত করা সবসময়ই ভাল ।
নিরামিষ খাবারে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস এই ডালের আটা । এটা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি প্রোটিন শেক বা পাউডারের দুর্দান্ত বিকল্প হিসেবে কাজ করে । কিন্তু কিডনির সমস্যায় ভোগা রোগীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত ৷ কারণ বেশি মাত্রায় প্রোটিন তাঁদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ।
শিশুদের খাবারে, ডাল ও শস্যের আটা মেশানো একটা প্রাচীন পদ্ধতি । আট মাসের উপরের শিশুদের ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর শস্য ও ডালের মিশ্রন দেওয়া হয় ৷ ভিজিয়ে, অঙ্কুরিত করে, সেঁকে নেওয়ার পর গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় । এর জাউ তৈরি তা বাচ্চাদের দেওয়া হয় । পরিমাণ বাড়াবার আগে তিনদিন নজর রাখুন যে বাচ্চার অ্যালার্জি আছে কি না ।
ডাল গুঁড়ো করার আগে সেঁকে নিলে তার মধ্যে থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যায় ৷ সুস্বাদু ও সুগন্ধি হয় এবং দীর্ঘদিন তা রাখা যায় ।
- ছোলার আটা বা বেসন
শুকনো ছোলা থেকে তৈরি এই আটা প্রতি বাড়িতেই থাকে ৷ বিভিন্ন রান্নায় তা ব্যবহার করা হয় । ছোলা শুধু প্লেটেই বৈচিত্র আনে না ৷ এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, ফসফরাস, ফোলেট এবং ভিটামিন বি-6 ।
- সয়াবিনের আটা