হায়দরাবাদ:সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ৷ সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতেই প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পালিত হয় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। সারা দেশজুড়েই 1 থেকে 7 সেপ্টেম্বর পালন করা হয় ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ’ । পর্যাপ্ত পুষ্টিই যে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি, তা সম্পর্কে সাধারণের সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ। তবে ইদানিং এক সপ্তাহের বদলে সারা মাস জুড়েই সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলে ৷ তাই পুষ্টিবিদদের মতে, সেপ্টেম্বর মাসকে বলা হয় ‘জাতীয় পুষ্টি মাস’ ৷ ইটিভি ভারতকে এমনটাই জানালেন কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাম্মানিক ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ডঃ অরিত্র খাঁ ৷
তিনি বলেন, "এই বছরের থিম হল সুপোষিত ভারত, সাক্ষর ভারত, সশক্ত ভারত (Suposhit Bharat, Sakshar Bharat, Sashakt Bharat)৷ এছাড়াও মহিলা ও শিশুর উন্নয়নে মন্ত্রণালয় থেকে যে বিষয় দেওয়া হয়েছে তা হল, জন্মের পর একটি শিশু ছ’মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাবে ৷ সেই সময় তার বাইরের কোনও খাবার বা কোনও প্যাকেটজাত দুধের প্রয়োজন নেই ৷ ছ’মাসের পর শিশুকে আস্তে আস্তে অন্য খাবার খাওয়ানো উচিত ৷ বলা হয়ে থাকে, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ও কোন সময়ে কতটা পুষ্টি দরকার, তা সম্পর্কে প্রত্যেকের অবগত হওয়া প্রয়োজন ৷’’
তাঁর কথায়, পুষ্টি নিয়ে এখনও আমাদের মধ্যে একটা অশিক্ষা রয়ে গিয়েছে ৷ ফলে তিনি বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কাজ করেন ৷ যাতে পুষ্টি বিষয়ে প্রত্যেকে অবগত থাকতে পারেন ৷ যেমন, অ্যানিমিয়াজনিত অপুষ্টি, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি ইত্যাদি নিয়ে সাধারণের মধ্যে থাকা ভুল ধারণা যাতে দূর হয় ৷