পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sukhibhava

ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগ, জানুন সুস্থ থাকার উপায়

Anti Obesity Day:আজ বিশ্ব স্থূলতা বিরোধী দিবস । করোনায় নিভৃতবাসই থেকেই বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে জাঁকিয়ে বসেছে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা । তারসঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও । রেহাই পাচ্ছে না বাচ্চা, অল্পবয়সিরাও । কীভাবে কমবে এই সমস্যা ? ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনামিকা ভট্টাচার্যকে জানালেন ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডাঃ শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় ।

Anti Obesity Day News
অ্যান্টি ওবেসিটি দিবস

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 26, 2023, 7:31 AM IST

Updated : Nov 26, 2023, 3:32 PM IST

হায়দরাবাদ: প্রতি বছর 26 নভেম্বর পালিত হয় অ্যান্টি-ওবেসিটি দিবস ৷ এই দিনটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল স্থূলতা এবং এর ফলে হওয়া বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা । কিছু মানুষের খুব অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় এবং এর ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় । স্থূলতার কারণে যে শারীরিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে তা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই এই দিনটি পালন করা হয় । অনিয়মিত লাইফস্টাইলের কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে ওবেসিটিতে আক্রান্তের সংখ্যা । স্থূলতা হল এমন একটি অবস্থা যেখানে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন বাড়তে থাকে । এর পাশাপাশি শরীরে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগের ঝুঁকি কয়েকগুন বেড়ে যায় ।

এই সম্পর্কে পেডিয়াট্রিক সার্জারি ও ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডাঃ শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যদি উচ্চতার থেকে যদি বডির ওজন বেশি হয় বা যদি বডি মাস ইনডেক্স বেশি হয় তাহলে তাকে ওবেসিটি বলা যেতে পারে ৷" খাবারের কথায় তিনি বলেন, "ওবেসিটির প্রধান কারণ হল ডায়েট ৷ ওবেসিটি অনেকটাই নির্ভর করে ডায়েটের উপর ৷ আমরা যে ক্যালোরি খাই যদি শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে ওবেসিটি হওয়ার সম্ভবনা বেশি ৷ কোভিডকালের পর থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সংখ্যা বেড়েছে । ফলে ওবেসিটি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে গিয়েছে ৷"

ওবেসিটির লক্ষণ ও আনুষাঙ্গিক রোগ-ব্যাধি:

  • ওজন বাড়তে শুরু করবে
  • কাজ করতে গিয়ে হাঁফিয়ে যাওয়া
  • ঘুম ঘুম ভাব
  • হার্টের সমস্যা হবে
  • প্রেসার ও সুগার বাড়তে থাকবে

তিনি আরও বলেন, "বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এই ওবেসিটির সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে গিয়েছে ৷ কারণ এখনকার বাচ্চারা ঘরে বসেই বেশি সময় কাটাচ্ছে ৷ ইন্টারনেটের ফলে মোবাইলে বেশি সময় দেয় । যার ফলে বাইরের খেলাধুলো কমে গিয়েছে ৷ আগে বাচ্চারা মাঠে খেলত, দৌড়াদৌড়ি করত । কিন্ত এখন বিষয়টা অন্য ৷ ইন্টারনেটে পড়াশোনা বা অন্যান্য কিছু দেখায় শারীরিক অ্যাক্টিভিটি কমে গিয়েছে ৷ এখন যেহেতু স্মার্টফোনের অভ্যাস হয়ে আছে তাই এখন ঘরে ঘরে স্মার্টফোন ৷ শারীরিক কার্যক্রম কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরের প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছে, যার ফলে ফ্যাট হচ্ছে ৷

সেক্ষেত্রে খাওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের খাবারের দিকে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৷ ভাত কম খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি । কারণ ভাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি ৷ তাঁর কথায়, ভাত খাওয়ার বদলে শাক-সবজি বেশি খাওয়া জরুরি ৷ এছাড়াও ডাল, স্যালাড, টকদই খাওয়া জরুরি ৷ বাচ্চাদের পেট ভরাতে স্যালাড, শাক-সবজি বেশি খাওয়া জরুরি ৷ এছাড়াও বাচ্চাদের শরীরিক কার্যক্রম দরকার ৷ তাহলে ওজন কমবে ৷

বড়দের ক্ষেত্রেও ডায়েট মাথায় রাখা জরুরি ৷ যারা মিষ্টি বেশি খান, তাঁদের মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে ৷ না-হলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুগারও বাড়ার সম্ভবনা থাকে ৷ এছাড়াও ফাস্টফুড, প্যাকেটজাত খাবার কম করতে হবে ৷ খিদে পেলে ছোলা ভিজিয়ে খাওয়া বা ঘরে বানানো কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ এছাড়াও ফল খাওয়া ভালো ৷ কিন্তু ফলের মধ্যে কলায় ক্যালোরি বেশি ৷ তাই কলা কম খেয়ে আপেল, পেয়ারা, বেরি জাতীয় ফল, পেঁপে খাওয়া ভালো । এগুলিতে পুষ্টি বেশি, ক্যালোরি কম ৷

আরও পড়ুন:

Last Updated : Nov 26, 2023, 3:32 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details