হায়দরাবাদ:আইভিএফের মাধ্যমে জন্মানো শিশুরা কীভাবে পরবর্তী ক্ষেত্রে একটি সুন্দর জীবন পেতে পারে ৷ এই বিষয়ে করা একটি গবেষণায় প্রধান লেখক তথা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাশ ইউনিভার্সিটির কারিন হ্যামারবার্গ জানান, অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, এআরটি পদ্ধতিতে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনে মানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে ৷ অন্যান্য মনোসামাজিক কারণগুলি এক্ষেত্রে থাকলেও জীবনযাপনের মান অবশ্যই উন্নত হতে পারে (IVF Children Quality of Life as Adults ) ৷ তিনি বলেন, "পূর্ববর্তী প্রমাণগুলি বলছে, এআরটি দ্বারা জন্মানো শিশু যারা আজ প্রাপ্তবয়স্ক, তাঁদের স্বাস্থ্য স্বাভাবিকভাবে জন্মানো বাচ্চাদের শারীরিক স্বাস্থ্যেরই অনুরূপ ৷ এটি সেই সমস্ত লোকদের আশ্বস্ত করে, যাঁরা এআরটির মাধ্যমে গর্ভধারণ করেছিলেন এবং যাঁদের গর্ভধারণের জন্য এআরটি প্রয়োজন ৷"
1978 সালে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন-এর মাধ্যমে প্রথম শিশুর জন্মের পর গত চার দশকে আট মিলিয়নেরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে এআরটির মাধ্যমে ৷ এই সময় স্বাভাবিক গর্ভধারণের সঙ্গে এআরটির প্রচুর তুলনাও করা হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক স্বাস্থ্য, বিকাশ এবং মনোসামাজিক সুস্থতার ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ৷ এই গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে এআরটির মাধ্যমে জন্মানো 193 জন যাঁরা আজ প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো 86 জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ অংশগ্রহণকারীদের জীবনযাপনের মানসম্মত মান পরিমাপ (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন কোয়ালিটি অফ লাইফ -- ব্রিফ অ্যাসেসমেন্ট (WHOQoL-BREF)) সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নাবলী দেওয়া হয়েছিল ৷ যার আবার দু‘টি ভাগ রেখেছিলেন গবেষকরা ৷ একটি ক্ষেত্রে দেখা হয়েছিল 18-28 বছর বয়সের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া এবং অন্যটিতে দেখা হয়েছিল 22-35 বছর বয়সের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ৷ এর জন্য WHOQoL-BREF স্বীকৃত চারটি ডোমেনকে বেছে নিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা ৷
- শারীরিক
- মানসিক
- সামাজিক সম্পর্ক
- পরিবেশ