ইটিভি ভারত সুখীভব কথা বলেছিল মাইন্ডসাইট, মাইন্ডআর্ট এবং কফি কনভার্সেশন মুম্বইয়ের মনোবিদ ও প্লে থেরাপিস্ট কাজল ইউ দাভের সঙ্গে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অনলাইন শিক্ষায় পড়ুয়াদের মনসংযোগের বিষয়টা বোঝা এবং কীভাবে তা আরও উন্নত করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে জানা ।
পড়াশোনা এবং স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে মনসংযোগ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক । গবেষণায় দেখা গেছে যে, মনসংযোগের সময়সীমা যত কম হয়, ততই কম শিক্ষালাভ হয় । অনলাইন স্কুলিং চালু হওয়ার আগে বাবা-মায়েরা এই ভেবে উদ্বিগ্ন হতেন, যে তাঁদের সন্তানরা স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করলেও বাড়িতে করে না । এখন যখন অনলাইন শিক্ষাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন বাড়ির কাজকর্ম, পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায়, টেলিভিশনের শব্দে, নজর রাখার মতো কেউ না থাকায় বাচ্চাদের মন বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে । এ সবকিছুর মধ্যে তাদের যা শেখানো হচ্ছে, তার দিকে নজরই দিচ্ছে না । বাড়ছে ক্লান্তিও ।
বসে থাকার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ছে, যে বাচ্চারা শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিখতে অভ্যস্ত, তারা তাল মেলাতে পারছে না । যদিও মডিউলগুলো অনলাইন শিক্ষার নানা ধাঁচের দিকে নজর রেখেই করা হচ্ছে, তাও এটা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই খুদে পড়ুয়াদের জন্য, যারা পড়া এবং কাইন্যাস্থেটিক পদ্ধতির মাধ্যমেই শিখতে পারে । উঠে দাঁড়িয়ে ক্লাসের মধ্যে টেক্সটা চেঁচিয়ে পড়ায় বাধা রয়েছে । পড়ুয়াদের মনোযোগ আকর্ষণ করে যেভাবে শিক্ষকদের সামনে এগিয়ে এসে টেক্সটটা পড়ে শোনায়, সেটাও এখন সম্ভব নয় । শিক্ষার্থীর মনোযোগ নানাভাবে বিক্ষিপ্ত হওয়ায় মনসংযোগ সামান্যই হচ্ছে, এবং অনলাইনে এর বিকল্প সম্ভব নয় । যে বাচ্ছারা মাল্টিটাস্কিং নয়, তাদের সমস্যা হচ্ছে একই সঙ্গে শুনে, লিখে, হোয়াইট বোর্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি গোটাটা বুঝতে । কিছু পড়ুয়া ইয়ারফোনে স্বচ্ছন্দ্য নয়, আর ইয়ারফোন ছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থেকে যায় ।