হায়দরাবাদ: আজকাল জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপের কারণে মানুষ স্থূলতার শিকার হচ্ছে । প্রায়শই ভুল সময়ে খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং শরীরচর্চা না-করা স্থূলতার প্রধান কারণ । অনেক সময় আমরা খাবার খাওয়ার পর এমন কিছু ভুল করে থাকি যা ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোনোর অভ্যাসের মত বেশ কিছু অভ্যাস আপনার মেদহীন শরীর গঠনের পক্ষে অন্তরায়। জেনে নিন, খাওয়ার পর কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন যাতে আপনার ওজন না বাড়ে ।
রাতে হালকা খাবার খান:ফিট থাকার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল নৈশভোজে খুব ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা ৷ কারণ এমন খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে যা রাতে হজম করা সহজ হয় না ৷ কারণ রাতে শরীর কম সক্রিয় থাকে । রাতে ভারী খাবার খেলে ধীরে ধীরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে এবং ওজন বাড়তে থাকে ।
ঘুমানোর কতক্ষণ আগে রাতের খাবার খেতে হবে (How long before going to bed should you eat dinner)?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়া ও ঘুমের মধ্যে অন্তত 2 ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত । এতে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি হজম হওয়ার সময় পাওয়া যায় ৷ সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ঘুমও হয় ভালো ৷
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমেবেন না(Do not sleep immediately after eating): খাওয়ার পর অন্তত 30 মিনিট হাঁটা উচিত । যারা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যায় তারা কখনই ওজন কমাতে পারে না ৷ বরং এটি বদহজম, অস্থিরতা এবং অনিদ্রার মতো সমস্যাগুলির দিকে নিয়ে যায় । এ ছাড়া খাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যা ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে ।
মাঝরাতে খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন:প্রায়শই মানুষদের কাজ বা বিনোদনের জন্য দেরি করে রাত জেগে থাকার অভ্যাস থাকে । ঘুম থেকে ওঠার সময় মানুষ প্রায়ই ক্ষুধার্ত হয় এবং তারা মধ্যরাতের স্ন্যাক্সের নামে কিছু না কিছু খেতে থাকে ৷ যার কারণে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় ৷ কারণ এটি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে ৷ যা পেটের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় । চর্বির ঝুঁকিও বেড়ে যায় ।
স্বাস্থ্যকর পানীয় উপভোগ করুন:আপনি যদি রাতে খাওয়ার পরেও ক্ষুধার্ত বোধ করেন তবে আপনি খাওয়ার পরে ক্যামোমিল চা, হলুদ দুধ বা অশ্বগন্ধা চা খেতে পারেন ৷ এটি আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে ।
আরও পড়ুন:
- শীতে বাড়ে হার্টের সমস্যা, কোন উপায়ে হৃদয়ের যত্ন নেবেন জানেন তো ?
- এই আয়ুর্বেদিক পানীয়গুলি আপনাকে শীতকালে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে
- শীতকালে এই রোগগুলি ইমিউনিটি দুর্বল করে দিতে পারে ! প্রতিরোধের উপায় জানেন তো ?
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)