হায়দরাবাদ: হাঁপানি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ৷ তবে এমন কিছু খাবার আছে যা হাঁপানি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ জেনে নিন হাঁপানি থাকলে কোন খাবার বেশি খেতে হবে এবং কোন খাবার কম খাওয়া উচিৎ ৷
দশজন অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে অন্তত একজনের হাঁপানিতে ভোগেন ৷ যার ফলে এটি সাধারণভাবে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হয়েছে ৷ হাঁপানি একটি প্রদাহজনিত রোগ ৷ যখন কোনও হাঁপানি রোগী নির্দিষ্ট ট্রিগারের সংস্পর্শে আসে (শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, ধুলো) তখন ফুসফুসের দিকের শ্বাসনালীগুলি সংকুচিত ও প্রসারিত হয় ৷ ফলে তাদের জন্য শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে ৷ যা সাধারণত 'অ্যাজমা অ্যাটাক' হিসেবে পরিচিত ৷
হাঁপানিতে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৷ দু'টি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সকল প্রাপ্তবয়স্কদের ফুসফুসের কার্যকারিতা খারাপ ছিল ও অ্যাজমা অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের অল্প কিছু ফল ও শাকসবজি-সহ ডায়েট করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফ্রি ব়্যাডিকলকে নিরপেক্ষ করে ৷ এগুলি প্রদাহের ফলে উৎপাদিত ক্ষতিকারক অণু যা শেষ পর্যন্ত আরও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে ৷ ভূমধ্যসাগরীয় খাবারে (যেমন- তৈলাক্ত স্যামন, ম্যাকরেল ও টুনা মাছ) ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে ৷ কোনও গবেষণাতেই হাঁপানির জন্য ওমেগা-3-এর সঙ্গে সম্পর্কিত সুবিধা দেখা যায়নি ৷ যদিও তৈলাক্ত মাছ, তেতুঁলের বীজ, চিয়া বীজ ও আখরোটের মতো ওমেগা-3 সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কোনও ক্ষতি নেই ৷ বরং এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমার মতো আরও অনেক সুবিধা রয়েছে ৷