হায়দরাবাদ:আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির জার্নালে প্রকাশিত ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) এর গবেষকদের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা বন্ধ্যাত্বের সমস্য়ায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট ফেলিওরেরর আশঙ্কা 16 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ৷ কার্ডিওলজিস্ট তথা এমজিএইচ-এর মেনোপজ, হরমোনস এবং কার্ডিওভাসকুলার ক্লিনিকের পরিচালক এমিলি লাউ বলেন, "আমারা দেখেছি মহিলাদের প্রজননের ইতিহাস তাঁদের ভবিষ্যতের হৃদরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারে ৷ একজন মহিলার গর্ভবতী হতে সমস্য়া হচ্ছে কি না, তাঁর গর্ভাবস্থার সময় কী ঘটছে, যখন তিনি মেনোপজের মধ্য দিয়ে যান, সবই পরবর্তী জীবনে তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে।"
প্রতি পাঁচজন মার্কিন মহিলার মধ্য়ে একজন অবশ্যই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভোগেন ৷ সাম্প্রতিক এই গবেষণার আগে পর্যন্ত হার্ট ফেলিওরের সঙ্গে এর যোগসূত্র কতখানি তা নিয়ে কোনও গবেষণা হয়নি ৷ 1990 এর দশকের গোড়ার দিকে তৈরি করা হয়েছিল উইমেন'স হেলথ ইনিশিয়েটিভ (WHI) ৷ এটি মহিলাদের প্রজনন ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য় সংগ্রহ করেছিল ৷ লাউ এবং সহকর্মীরা WHI থেকে পোস্টমেনোপজাল মহিলাদের তথ্য সংগ্রহ করে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ৷ তাঁরা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন যে, বন্ধ্যাত্ব হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় কি না ।
হার্ট ফেলিওরের মূলত দু'ধরণের হয়(Heart failure risk in women):
- হার্ট ফেলিওর উইথ ইজেকশন ফ্র্যাকশন
- হার্ট ফেলিওর উইথ রিডিউসড ইজেকশন ফ্র্যাকশন
ইজেকশন ফ্র্যাকশন হল প্রতিটি বিটের সময় হৃৎপিণ্ডের বাম নিলয় থেকে পাম্প করা রক্তের ভলিউম পার্সেন্টেজ সংক্রান্ত একটি পরিমাপ ৷ 50 শতাংশের কম ইজেকশন ফ্র্যাকশনকে সাধারণত অস্বাভাবিক বলে ধরা হয় ৷