বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগ গত 20 বছর ধরে অসুস্থতায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ । এই দৌড়ে এগিয়ে ভারত । সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কার্ডিওভাস্কুলার অসুখে মৃত্যুর ঘটনা 1990 সালে 2.26 মিলিয়ন থেকে 2020 সালে 4.77 মিলিয়নে পৌঁছেছে ।
লীলাবতী হাসপাতালের কনসালটেন্ট শশাঙ্ক যোশী বলেন, “নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়, বিশেষ করে হৃদরোগ হচ্ছে প্রাণঘাতী এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করার ব্যাপারে আমাদের সক্রিয় হতে হবে।” তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ নিয়ে আলোচনা করাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
স্বাস্থ্য নিয়ে যখন কথা বলা হয়, হৃদযন্ত্রের কথাটাই প্রায়শই উপেক্ষিত থেকে যায় । তার কারণ এই নয় যে মানুষ হৃদযন্ত্রকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু একমাত্র সমস্যা দেখা দিলেই সেদিকে নজর দেওয়া হয় । যদি কারও বেশি কলেস্টেরেল বা কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তখনই একমাত্র তা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ করা হয় । কিন্তু আপনি কি জানেন যে জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনলেই হৃদরোগের ঝুঁকিটা অনেকখানি কমিয়ে আনা যায় ?
এটা সবাই জানেন যে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার নানাধরণের অসুস্থতা ডেকে নিয়ে আসে । বিভিন্ন হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি । আমাদের দ্রুতগতির জীবনযাত্রা আমাদের অস্বাস্থ্যকর নানা বিষয় বেছে নিতে বাধ্য করে ৷ আমরা বুঝতেও পারি না যে তার দীর্ঘমেয়াদী কী প্রভাব পড়তে চলেছে । দ্রুতগতির জীবনযাত্রা, খাবার স্কিপ করা হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে । এগুলো অনেকেই জানেন, কিন্তু কয়েকটি বিষয় আরও রয়েছে, যেগুলো অনেকেরই ভালোভাবে জানা নেই, অথচ তারা হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করতে পারে । এর মধ্যে একটি হল কম ঘুমোনো ।
আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে প্রথম কৃত্রিম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন কলকাতায়