হায়দরাবাদ: বর্ষা আসতেই নানা রকম রোগ-জীবাণুর মতো সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে আমাদের ৷ ছোট থেকে বড় সকলেই নান অসুখে ভোগেন ৷ তবে এই সময়ে আরও একটি সমস্যা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তা হল চোখের সংক্রমণ ৷ নয়াদিল্লিতে ক্রমশ বেড়ে চলা চোখের সংক্রমণের কারণে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ভীষণ জরুরি ৷ শুধু তাই নয়, ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ৷
হেলভেটিয়া মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের কনসালটেন্ট ফিজিসিয়ান চিকিৎসক সৌরদীপ্ত চন্দ্র বলেন, "এই বছর একদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি অন্যদিকে বন্যার কারণে দিল্লিতে ডেঙ্গু, টাইফয়েড বা কনজাংটিভাইটিসের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে ৷ তাই যদি বাড়িতেই কিছু নিয়ম মানা যায় ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা যায়, তাহলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব ৷"
- বৃষ্টির জল যেন চোখে না পড়ে ৷ অর্থাৎ যখন আপনি বাইরে যাচ্ছেন ছাতা যেমন ব্যবহার করছেন, তার সঙ্গে একটা চশমা বা গ্লাস রাখা জরুরি ৷
- যখন তখন চোখে হাত দেওয়া উচিত নয় ৷ কারণ অনেক সময় বোঝাই যায় না, কোথায়, কখন, কীসে হাত দিয়েছে বা কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি ৷ যদি কোনওভাবে সেই ব্যক্তি বা সেই জায়গা জীবাণু সংক্রমিত হয়, তাহলে তা চোখে অনায়াসে প্রবেশ করবে ৷ তাই চোখে হাত দেওয়ার আগে উচিত, ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া ৷
- বর্ষার সময় কোনও পুল পার্টি বা ওয়াটার পার্কে যাওয়া উচিত নয় ৷ কারণ জলবাহিত রোগ এই সময় বেশি ছড়ায় ৷ আর এই ধরনের ওয়াটার পার্কগুলিতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি ৷
- এই সময় চিকিৎসকের কাছে একবার চোখ দেখিয়ে নেওয়া ভালো ৷ আগে থেকে চোখ দেখালে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভবপর হয় ৷
- অনেক সময়, চোখে সংক্রমণ হলে ওষুধের দোকানে বলে তা কেনার প্রবণতা অনেকেরই আছে ৷ চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের প্রবণতা থাকা একদম উচিত নয় ৷ চোখ প্রচণ্ড সংবেদনশীল জায়গা ৷ তাই চোখ ভালো রাখতে চাইলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া উচিত ৷
- এই সময় কনটাক্ট লেন্স পড়া উচিত নয় ৷ এমনকী, চোখের মেকআপ করাও উচিত নয় ৷ অর্থাৎ কাজল, আইলাইনার বা মাশকরা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত ৷
- যে বিছানায় শুচ্ছেন বা যে টাওয়েল ব্যবহার করছেন, তা প্রতিদিন সাবান দিয়ে কাচা উচিত ৷ না-হলে জীবাণু থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা এড়িয়ে যাওয়া যায় না ৷ ভালো হয় যদি সেগুলি গরম জলে কাচা হয় ৷
- চোখে ব্যবহার করেছেন এমন কোনও জিনিস আর কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না ৷ এতে অন্যের চোখেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকে ৷ এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ড্রপস ও ওষুধ খাওয়া উচিত ৷