হায়দরাবাদ: আমরা সবসময় শুনে থাকি যে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত । শরীরে জলের অভাব অনেক রোগের কারণ হতে পারে । এটি শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে সম্পূর্ণ পুষ্টি প্রদান করে । কিন্তু আপনি কি জানেন বেশি জল পান করলেও আমাদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে । হ্যাঁ, অবশ্যই এটা ঘটতে পারে । স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জল পান করা আপনার মোট রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং অতিরিক্ত জল ফিল্টার করার জন্য আপনার কিডনিকে ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য করে । এছাড়াও এটি হৃৎপিণ্ডের উপর আরও বোঝা ফেলতে পারে, পেটে জ্বালাপোড়া বাড়াতে পারে । এ ছাড়া জলের নেশাও হতে পারে (Too Much Water Drink) ।
ওভারহাইড্রেশন কী ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলের নেশা এমন একটি অবস্থা যা অতিরিক্ত জল পান করে । এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যকে ব্যাহত করে এবং রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, যা হাইপোনাট্রেমিয়া নামক অবস্থার দিকে পরিচালিত করে ।
ওভারহাইড্রেশনের লক্ষণগুলি কী কী ?
বমি বমি ভাব: শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে, যারা বেশি জল পান করেন তাদের প্রায়শই তন্দ্রা লাগে এবং বমি হওয়ার মতো অনুভূতি হয় ।
মাথাব্যথা: মানুষ সারা দিন মাথা ব্যথা অনুভব করে । শরীরে অতিরিক্ত জলের কারণে শরীরে লবণের মাত্রা কমে যায় এবং কোষগুলি ফুলে যায়, যার ফলে মাথাব্যথা হয় ।
ক্লান্তি: অতিরিক্ত জল পান করলে আপনার কিডনিকে অতিরিক্ত পরিমান দূর করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয় । এটি মানুষকে মাঝে মাঝে ক্লান্ত এবং বিভ্রান্ত বোধ করতে পারে ।
ত্বকের বিবর্ণতা: অতিরিক্ত হাইড্রেশনের সঙ্গে আপনি পা, হাত এবং ঠোঁটের ফোলাভাব বা বিবর্ণতা লক্ষ্য করতে পারেন । মূলত, কোষের প্রদাহের পাশাপাশি আপনি আপনার ত্বকে কিছু ফোলাও অনুভব করতে পারেন ।
বেশি জল পান করাকে ওভারহাইড্রেশন বলে ৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন যে আমাদের দৈনিক জল খাওয়া বয়স, লিঙ্গ, শরীরের ওজন, কার্যকলাপের স্তর, বিপাক এবং ওষুধ-সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে । আসলে, জল গ্রহণের মাত্রা আমাদের পরিবেশগত অবস্থার উপরও নির্ভর করে ।