হায়দরাবাদ: শিমের আকৃতির অঙ্গ কিডনির কজের মধ্যে রয়েছে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করা । যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য ঠিক থাকে । কিডনি সুস্থ রাখা শরীরের অনেক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আয়ুর্বেদে হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ চিকিৎসার ঐতিহ্যগত পদ্ধতি যার অধীনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় । ফলে কিডনি সুস্থ থাকে । জলের অভাবে কিডনি রোগ-সহ আরও অনেক সমস্যা হতে পারে । কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য হাইড্রেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ তার কয়েকটি প্রধান কারণ এখানে রয়েছে ৷
বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ:পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা কিডনিকে রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান ও বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে । পর্যাপ্ত পরিমাণ জল কিডনিকে সঠিকভাবে কাজ করে ৷ যার কারণে শরীরে ক্ষতিকর উপাদান জমতে পারে না ।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ: জলের অভাব কিডনিতে পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায় ৷ কারণ ঘনীভূত প্রস্রাব স্ফটিক গঠনের কারণ হতে পারে । পর্যাপ্ত পরিমাণ জল প্রস্রাবকে পাতলা করে ৷ যা পাথর গঠনের ঝুঁকি কমায় ।
ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা মানে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে । পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য ইলেক্ট্রোলাইট অপরিহার্য । কিডনি তাদের মাত্রা বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা কিডনিকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ যখন দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে চাপ দেয় এতে হাইপারটেনশনের সমস্যা দেখা দেয়, যা হার্টের পাশাপাশি কিডনির ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে ।
হাইড্রেশনের জন্য আয়ুর্বেদিক প্রতিকার: আয়ুর্বেদে শুধু জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় না ৷ সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে জল পান করারও পরামর্শ দেওয়া হয় ।
শরীরে সঠিক পরিমাণে জল বজায় রাখার কিছু উপায়:
কুসুম গরম জল দিয়ে দিন শুরু করুন: এক গ্লাস গরম জল দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন । এতে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যাবে ।