প্রতি বছর 20 মার্চ এফডিআই ওয়ার্ল্ড ডেন্টাল ফেডারেশনের উদ্যোগে ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে (ডব্লিউওএইচডি) পালন করা হয় । যাতে মুখের নানান রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাড়ে । বিশ্বজুড়ে ওরাল হাইজিনের গুরুত্ব নিয়ে প্রচার চালানো হয়, এবং এবছরের থিম হল, “মুখ নিয়ে গর্বিত হোন”।
মুখের স্বাস্থ্য-
সার্বিক স্বাস্থ্যের মতোই মুখের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ । হু বলছে, “মুখের স্বাস্থ্য হল এমন একটা অবস্থা, যাতে ক্রনিক যন্ত্রণা, মুখের মধ্যে ও গলায় ক্যান্সার, সংক্রমণ, ঘা, মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষয়, দাঁত পড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় । এইসব সমস্যা মানুষের কামড়ানো, চিবানো, হাসি, কথা বলার ক্ষমতা এবং মানসিকভাবে ভালো থাকাকে বিপর্যস্ত করে তোলে ।”
সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর মুখের স্বাস্থ্যের প্রভাব-
ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)-এর মতে, মুখের স্বাস্থ্যের বড়সড় প্রভাব গোটা শরীরের ওপর পড়ে, যার মধ্যে রয়েছে:
- হৃদরোগ : মাড়ির রোগ যাঁদের আছে, তাঁদের প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ । একইরকম ভাবে, যাঁদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে, তাঁদের মুখের ব্যাপারেও সাবধান হতে হবে ।
- স্ট্রোক : একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে মুখের মধ্যে সংক্রমণ স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায় ।
- ডায়াবিটিস : মুখের সংক্রমণ ডায়াবিটিসকে ত্বরান্বিত করে । যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের মাড়ির রোগের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায় ।
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা : মুখের মধ্যে যাঁদের সংক্রমণ রয়েছে, তাঁরা নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর অসুখে পড়তে পারেন ।
- সন্তানধারণ : সময়ের আগেই প্রসব এবং শিশুর আকার ছোট হওয়ার পিছনে থাকে অন্তঃসত্ত্বার মাড়ির সমস্যা । যে জৈব তরল থেকে প্রসবযন্ত্রণা তৈরি হয়, তা অনেক সময় মাড়িতে থাকা ব্যাকটিরিয়ারাই ত্বরান্বিত করে ।
মুখের কয়েকটি সমস্যা -
1.দাঁতে ব্যাথা
2.দাঁতে গর্ত
3.ছোপধরা বা হলদে দাঁত
4.সংবেদনশীলতা
5.ফেটে যাওয়া অথবা ভাঙা দাঁত
6.দাঁতে ক্ষয়
7.জিঞ্জিভাইটিস (মাড়ির রোগ)
8.মুখের ক্যান্সার
9.মুখে ঘা
10.নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
কী করা যেতে পারে
মুখের যত্ন না নিলে কী কী বিপত্তি হতে পারে সেটা জানার পর, আসুন দেখি বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য আইডিএ কী পরামর্শ দিচ্ছে :
1. সদ্যোজাত
আপনার সদ্যোজাতকে একবছরে বা প্রথম দাঁত ওঠার সময় ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যান ।
গজ বা নরম সূতির কাপড় দিয়ে শিশুর মাড়ি পরিষ্কার রাখুন ।
নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ এবং এক ফোঁটা পেস্ট দিয়ে খাওয়ানোর পর এবং শোয়ার আগে আপনার সন্তানের দাঁত মেজে দিন ।
দাঁত ফ্লস করুন । যখন দুটো দুধের দাঁত পাশাপাশি উঠবে, তাদের দিনে অন্তত একবার ফ্লস করা উচিত (ঘুমোতে যাওয়ার আগে হলে ভাল) ।
শিশুর বোতল থেকে খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ান । আপনার চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করুন যে স্তন্যপান কখন বন্ধ করবেন । যদি শিশু প্রথম থেকেই বোতলে খায়, তাহলে এক বছরের মধ্যে তা ছাড়িয়ে দিন ।
2. শিশু