নয়াদিল্লি : স্বাস্থ্য এবং মানবাধিকার পরিষবায় (হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস তথা এইচএইচএস) ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ ভারতে অন্যতম সর্বোচ্চ । বিশ্বব্যাপী অগ্রণী উপদেষ্টা সংস্থা, EY এবং ইম্পিরিয়াল কলেজ, লন্ডনের তরফে হওয়া একটি সমীক্ষায় এ কথা জানা গিয়েছে ।
সমীক্ষার ফল অনুসারে, ভারতে 51 শতাংশ রেসপন্ড্যান্ট তথা গ্রাহক তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি অবং ডেটা সলিউশনসের প্রয়োগ বাড়িয়েছেন প্যানডেমিকের প্রকোপের সূচনার পর থেকে ।
বিশ্বের ছ’টি দেশ যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই), ব্রিটেন এবং আমেরিকার থেকে 2000-এরও বেশি বিশ্বব্যাপী HHS পেশাদারদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই ফল মিলেছে । এর মধ্যে 359 জনই ভারতের ।
ভারতের রেসপন্ড্যান্টদের 74 শতাংশই যেখানে জানিয়েছেন যে, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ডেটা সলিউশনস, কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে, সেখানে 75 শতাংশ জানিয়েছেন যে ডিজিটাল সমাধান তাদের রোগী ও সারভিস ইউজারদের ক্ষেত্রে বেশি ভাল ফলাফল পেতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ।
আরও পড়ুন : ঘুম নেই চোখে? ডায়াবিটিসের থেকেও বেশি মানুষ ভোগেন প্রাণঘাতী এই রোগে
EY India, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের পার্টনার ও নেতা গৌরব তানেজা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “কোভিড-19 প্যানডেমিকের প্রেক্ষিতে হওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেখা গিয়েছে যে ডেটা এবং প্রযুক্তি ভারতের স্বাস্থ্য এবং মানব-পরিষেবা পেশাদারদের কাজে সত্যিকারের পার্থক্য আনতে পারে । এমন পেশাদার কর্মচারী যারা এই ভয়ংকর রোগের সামনে অক্লান্তভাবে এবং নায়কোচিতভাবে কাজ করে গিয়েছেন ।”
তিনি বলেছেন, “পর্যাপ্ত সরকারি সমর্থন এবং অনুদানের উপর ভিত্তি করে ভারত সত্যিই দুনিয়ার সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির হাত ধরতে ভারত বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং কোন পথে এগোতে হবে, সেই রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারে ।”
অতীতে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সংগঠনগুলি যেখানে প্রায়ই ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ডেটা সলিউশনসকে কাজে লাগাতে পিছিয়ে থেকেছে, সেখানে কোভিড-19 প্যানডেমিকের প্রতিক্রিয়া, অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে বদল এনে দিয়েছে ।