হায়দরাবাদ, 23 জুলাই : আমরা বেঁচে আছি, কারণ আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি ৷ এই শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া সঠিকভাবে আর সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করলে বহু শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ৷ সুস্থ থাকতে দুনিয়াজুড়ে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়ার অভ্যাস করছে ৷
মেডিটেশন বা ধ্যানের অন্যতম উপায় ডিপ ব্রিদিং বা শরীরের ভিতরে থেকে শ্বাস নেওয়া এবং ত্যাগ করা ৷ এমনকি যোগাতেও সঠিক আর ধীর গতিতে শ্বাসপ্রশ্বাসকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় ৷ অনেক গবেষণার পরে ফল মিলেছে যে ধ্যান আর সঠিক প্রক্রিয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর ফলে মানসিক চিন্তা, অবসাদ এসব কমে যায়, স্মৃতিশক্তি, আর মনঃসংযোগের উন্নতি হয়, ভাল ঘুম হয় ৷ বিশ্বজুড়ে নানা দেশ এই শ্বাস-প্রশ্বাসের অভিনব উপায় গ্রহণ করেছে ৷ এ বিষয়ে ইটিভি ভারতের সুখীভব-র তরফে জাভিক ওয়েলনেসের ডিরেক্টর নন্দিতা এবং যোগা বিশেষজ্ঞ মীনু বার্মার সঙ্গে কথা বলা হয় ৷
কুণ্ডলিনী (ডায়াফ্রাগাম ব্রেদ)
যোগাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কুণ্ডলিনী যোগা বা ধ্যানের উপর ৷ শ্বাসপ্রশ্বাসের এই অভ্যাস ফলে কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগাতে সাহায্য করে ৷ হিন্দু সংস্কৃতিতে "কুণ্ডলিনী"-র মানে "কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকা সাপ" ৷ প্রাচীন সংস্কার অনুযায়ী এবং যোগাতেও উল্লেখ রয়েছে যে শরীরের সমস্ত শক্তি বহন করে শিরদাঁড়া ৷ কুণ্ডলিনীর মাধ্যমে একজন তাঁর শক্তি চক্রকে জাগিয়ে, নিয়মিত করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ৷ এই শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরনে, শিরদাঁড়া দিয়ে চক্রের মধ্যে দিয়ে শক্তি উপরের দিকে ওঠে ৷ একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, ডায়াফ্রাগামটা ফুসফুসের নিচে থাকে আর তা শ্বাসপ্রক্রিয়া চালানোর প্রধান পেশি ৷ যদি সঠিক নির্দেশ আর বিশেষজ্ঞের অধীনে এই অভ্যাস করা যায়, তাহলে কুণ্ডলিনী যোগা দীর্ঘদিনের পুরনো অ্যাস্থমা, অন্যান্য ফুসফুসজনিত রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে ৷
নদী শোধন প্রাণায়াম
যোগা বিশেষজ্ঞ মীনু ভার্মা আমাদের জানালেন, প্রাণায়াম যোগার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক ৷ নদীকে একটা শক্তির ধারা হিসেবে ধরা হয় আর এই শক্তি ধারা বিভিন্ন কারণে রুদ্ধ হয়ে যায় ৷ নদী শোধন প্রাণায়ামের ফলে একজন নিয়ন্ত্রিত শ্বাসক্রিয়া অভ্যাস করতে পারে ৷