হায়দরাবাদ:আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এবং এই পরিবর্তনের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হতে দেখা যাচ্ছে । এই সময়ে ফ্লুর ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় । আপনার আশেপাশের কারও যদি জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া বা শরীরে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকে তাহলে আপনি ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন । এই সময় বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে দেখা যায় । কেউ কেউ অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান আবার কেউ কেউ প্রথমে ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণের কথা ভাবেন । কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে পেঁয়াজ জ্বর এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হতে পারে । কিন্তু এটা কি সত্যিই কার্যকর ?
আমরা সবসময় শুনে আসছি যে পেঁয়াজের অনেক গুণ রয়েছে । একই সময়ে কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে, রাতে মোজায় কাঁচা পেঁয়াজ ঢুকিয়ে ঘুমানো উপকারী হতে পারে । অনেক বিশেষজ্ঞই একাধিকবার বলছেন, পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার যৌগ শরীরে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে মেরে ফেলে । এটি রক্ত পরিষ্কার করতে পারে এবং ফ্লুর লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে । তবে এই তথ্যের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷
পেঁয়াজের স্বাস্থ্য উপকারিতা:পেঁয়াজ প্রায়শই স্যালাডে বা রান্নায় খাবারের স্বাদ যোগ করতে ব্যবহৃত হয় । তবে পেঁয়াজেরও কিছু সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে । কাঁচা লাল পেঁয়াজ খাওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত মহিলাদের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে । পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি 6, ভিটামিন সি, বায়োটিন এবং কপার রয়েছে যা শরীরকে নতুন ও সুস্থ কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে ।
1) অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট:পেঁয়াজ ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের কার্যকলাপকে বাধা দেয় । কোয়েরসেটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা পেঁয়াজে পাওয়া যায় ।
2) ডায়াবেটিসের জন্য পেঁয়াজ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁয়াজে থাকা সালফার যৌগ ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াতে এবং রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে ।