পিঠে ব্যথার সমস্যা খুবই অস্বস্তিকর বিশেষ করে যদি এই ব্যথা দৈনন্দিন কাজকর্ম করার সময় হয় বা পেশাগত কোন দায়িত্ব পালন করার সময় হয়। কারণ এর ফলে আক্রান্তের মানসিক চাপ এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে, তা তার জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। পিঠ কোন দিকে হেলে থাকবে, তা এমন কারও পক্ষে অত্যন্ত জরুরি প্রসঙ্গ, যে পিঠের ব্যথায় ভুগছে অথবা যে পিঠের ব্যথাজনিত সমস্যাগুলি এড়াতে চাইছে। আমরা এই সমস্যা সম্পর্কে আরও জানতে এবং এর নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে অলটারনেটিভ মেডিসিন প্র্যাকটিশনার এবং যোগ—শিক্ষিকা ডা. জাহ্নবী কাঠরানির সঙ্গে কথা বলেছি ।
মেরুদণ্ডের হাড়কে একের পর এক, সারিতে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ওই কাঠামোয় মাংসপেশী এবং লিগামেন্টসমূহ জুড়ে গিয়ে তাকে আরও জটিল করে তোলে । এই কাঠামোর ফলেই মাসল ফাইবারের সঙ্গে অংশে টান তৈরিতে সক্ষম, এমন কোণ তৈরি হয় আর এর জেরেই পিঠের যে কোনও গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয় । এই কাঠামোয় যদি কোনও বিন্যাস সরে যায় কিংবা সামান্য ‘ওয়্যার অ্যান্ড টিয়ার’ জনিত ক্লান্তি দেখা দিলেও পিঠে ব্যথা হয় যা কাজ করার সময়ও হতে পারে আবার বিশ্রামকালেও হতে পারে ।
পিঠে ব্যথা কেন হয়?
পিঠে ব্যথার কারণ অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুর্বলতা অথবা আপাতভাবে বসে থাকা-নির্ভর জীবনযাত্রাও হতে পারে, যা সরাসরি পিঠের ভিতরের শারীরিক কাঠামোএবং কারও ফিটনেসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে । হতে পারে মাংসপেশী বা লিগামেন্টের কোনও আঘাত থেকে এটা হচ্ছে, যা ভারী কোনও ওজন তুলতে গিয়ে হয়েছে কিংবা হঠাৎকোনও হ্যাঁচকা টান লেগে হয়েছে ।
‘ওয়্যার অ্যান্ড টিয়ার’ আঘাত সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর ক্লান্তি থেকে হয় । শরীরে যদি দুর্বলতা আগে থেকেই থাকে, তাহলে তা একে আরও খারাপ করে দিতে পারে । পিঠের মাংসপেশীর দুর্বলতা অথবা পুষ্টির কোনও রকম ঘাটতির সঙ্গেও পিঠের ব্যথার সমস্যার যোগসূত্র থাকতে পারে ।
তাছাড়াও এটা দেখা গিয়েছে যে, কম জল খেলে তার থেকে স্পর্শকাতর পরিস্থিতির উদ্ভব হয় এবং তার থেকে পিঠে ব্যথা হয় । মানসিক চাপ, অবসাদও পিঠের মাসলের ক্লান্তিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারে । এমনকী, উদ্বেগ থেকেও ঘাড়ের সঙ্গে পিঠের ব্যথার সংযোগ রয়েছে ।
সুস্থ পিঠ কী?
পিঠের ভঙ্গি সবসময় যথাযথ হওয়া উচিত, কখনও পিঠ বা কাঁধ ঝুঁকিয়ে বসা বা হাঁটা উচিত নয় আবার ঘাড় এবং পিঠের নিচের দিকের অংশ ভুল ভঙ্গিতে রাখাও ঠিক
নয় ।