রাগী বা নাচনি ময়দা : আপনি যদি শরীরের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেন তাহলে রাগীর ময়দা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর । এটি অঙুরের বাজরা নামেও পরিচিত । ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায় এর থেকে । এই ময়দা রক্তাল্পতা নিরাময়, মধুমেয় রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর । এই ধরনের ময়দা থেকে ধোসা, কুকিজ, বিস্কুট তৈরি হয় । এই ধরনের ময়দা থেকে সুস্বাদু রুটি তৈরি হয় ।
জোয়ারের আটা বা ময়দা :জোয়ার থেকে তৈরি হওয়া ময়দা বা আটা ভিটামিন বি 12 , ভিটামিন এ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার পাওয়া যায় । কোষে রক্ত সঞ্চালন, চুলের গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি, চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে । ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে এই আটা অত্যন্ত কার্যকর । হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য যাঁদের আছে, তাদের পক্ষে এই আটা উপকারী । জোয়ার প্রাকৃতিকভাবে আঠালো ।
বাজরার ময়দা : অধিক তাপমাত্রা যুক্ত অঞ্চলে সাধারণত এই ধরনের বাজরা ব্যবহার করা হয় । এর থেকে ভিটামিন এবং খনিজ দ্রব্য পাওয়া যায় । প্রোটিনের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ফাইবার জাতীয় পদার্থের পাশাপাশি ভিটামিন-ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, নিয়াসিন, থায়ামিনের উৎস সমৃদ্ধ এই আটা ।
যে সব ব্যক্তিদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে, যাঁদের কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, এই আটা সে সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে ।
এই ধরনের ময়দা একটু শুকনো প্রকৃতির হয় । প্রয়োজনে এর সঙ্গে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে ।
রাজগিরা আটা : রাজগিরা এমন একটি বীজ যা পশ্চিমের দেশগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয় । তবে ভারতে এই জাতীয় শস্যের তেমন চল নেই । নিরামিষ খাবার হিসেবে উপবাসের সময় এই আটা ব্যবহার করা হয় । এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায় এর থেকে । হৃদরোগ, ক্যান্সার, স্ট্রোটের মতো রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়তা করে । বাতের সমস্যা যাঁদের আছে, তাদের এই আটার তৈরি রুটি কার্যকর । তবে, এই আটা তৈরি করার সময় কয়েকটা দিকে নজর দেওয়া জরুরি ।