বলা হয়, দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্লসিং করলে মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে । কিন্তু কখনও কখনও তা সত্ত্বেও কারও কারও মুখে দুর্গন্ধ হয় । সেক্ষেত্রে দায়ী করা হয় মুখের স্বাস্থ্যেরর যথাযথ খেয়াল না রাখাকেই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা ঠিক । কিন্তু আপনি জানেন কী? মুখের দুর্গন্ধ কখনও কখনও কোনও অসুস্থতারও হুঁশিয়ারি হতে পারে?
মুখের দুর্গন্ধের কারণ :
ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখের দুর্গন্ধের কারণ হল মুখের স্বাস্থে্যর ঠিকভাবে খেয়াল না রাখা । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা কোনও রোগেরও উপসর্গ হতে পারে । এর কারণের মধ্যে রয়েছে–
মুখে খাবারের কণা থেকে যাওয়া
যদি খাবার খাওয়ার পর আমরা মুখ ভাল করে না ধুই, তাহলে সেই খাবারের অংশবিশেষ দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকতে পারে, যার জন্য মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে । তাছাড়াও কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন খেলে বা এই সব রয়েছে এমন কোনও খাবার খেলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে ।
মুখের শুষ্কতা
আমাদের মুখের লালা আমাদের মুখের ভিতরের অংশকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং তাকে পরিষ্কার রাখে । কিন্তু কখনও কখনও মুখে লালারসের কম উৎপাদনের জন্য জিভের নিচের দিকে, মাড়িতে এবং ‘চিক’ অংশে মৃত কোষ জমতে শুরু করে, যার থেকে বাজে গন্ধ বের হয় । সাধারণত শোওয়ার সময় এই সমস্যা দেখা দেয় ।
দাঁতের সমস্যা
আমরা যদি দাঁতেরও ঠিক মতো যত্ন না করি, তাহলে এই সমস্যা দেখা দেবে । ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ না করলে দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা আটকে থাকে, যার ফলে ব্যাকটিরিয়া এবং হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি হয় । দাঁতের উপর রঙহীন ও চটচটে ব্যাকটিরিয়ার স্তর জমা হয় । তাছাড়াও পাইরিয়ার মতো দাঁতের সমস্যাও মুখের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে ।
সংকটজনক রোগব্যধি
ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে মুখের দুর্গন্ধ হয় । এই সমস্যা সৃষ্টিকারী অন্যান্য কারণের মধে্য রয়েছে পরিপাকজনিত সমস্যা, ক্যানসার এবং শরীরের অন্যান্য বিপাকজনিত সমস্যা । এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান, কড়া হারে ডায়েটিং, সকালে প্রাতঃরাশ না করা, মুখের আলসার, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, গলায় সংক্রমণ, টনসিলের সংক্রমণের জন্যও এই সমস্যা হতে পারে কারণ এ সবের ফলে শরীরে জিংকের ঘাটতি দেখা দেয় । যদি সমস্যা স্থায়ী হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।