হায়দরাবাদ: সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরও এর সঙ্গে লড়াই করছে তার সামর্থ্যের সঙ্গে । গ্রীষ্মকালে হজম প্রক্রিয়াও মন্থর হয়ে যায় । এমন পরিস্থিতিতে খাবারের বিকল্পগুলি খুব সাবধানে বেছে নিতে হবে । ভারী খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলীর অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় যার কারণে একজন ব্যক্তি অলসতা এবং ক্লান্তি অনুভব করে । তাই এই মরশুমে হালকা খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ তাতে বদহজম ও অস্থিরতাও এড়ানো যায় । একইসঙ্গে গ্রীষ্মের মরশুমে এনার্জি লেভেল বেশি রাখতে কিছু পানীয়ও খাওয়া যেতে পারে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে ।
1) লাউয়ের জুস: লাউয়ের রস খালি পেটে পান করা উচিত । এই রস শরীরকে ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি হজমশক্তির উন্নতি ঘটাবে । এছাড়াও এতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বৈশিষ্ট্য ।
লাউয়ের জুস কীভাবে তৈরি করবেন ?
লাউ ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন । এবার এর বীজ বের করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন । লাউয়ের টুকরোগুলি ব্লেন্ডার বা জুসারে রাখুন । এতে কিছু জল যোগ করুন এবং মসৃণ হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন । ফাইবার অপসারণ করতে একটি সূক্ষ্ম চালুনি বা জাল কাপড়ের মাধ্যমে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন । আপনার লাউয়ের জুস প্রস্তুত ।
2) ফ্রুট স্মুদি:গ্রীষ্মে নিজেকে হাইড্রেটেড এবং এনার্জেটিক রাখতে ফ্রুট স্মুদি হল সেরা ব্রেকফাস্ট । এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আপনাকে সারা দিন আপনার শক্তি এবং ডোপামিনের মাত্রা বেশি রাখতে সাহায্য করে । এর সঙ্গে মেজাজও সারাদিন খুব ভালো থাকবে ।
কীভাবে ফ্রুট স্মুদি বানাবেন ?
2টি ছোট কলা, 1/2 কাপ আপনার পছন্দের ফল (আনারস, পেঁপে, আপেল ইত্যাদি) ৷ 1টি গুজবেরি বা মুষ্টিমেয় ব্লুবেরি বা রাস্পবেরি বা স্ট্রবেরি ৷
1 কাপ শাক (পালংশাক, কেল, পুদিনা, তুলসি ইত্যাদি) ৷ 1/3 কাপ ভেজানো খেজুর বা কিশমিশ বা এপ্রিকট (ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত) ৷ 3/4 কাপ জল ৷ 1 টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া বা সবজা বীজ ৷